কলকাতা : আজ সরস্বতী পুজো। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে হাতেখড়ি হয়েছে ছোট বাচ্চাদের। আর আজকের এই বিশেষ দিনেই হাতে খড়ি হল পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী এদিন রাজভবনে হয় তাঁর হাতেখড়ি। রাজ্যপালের হাতে খড়ি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম সহ অন্যান্যরা।
রাজ্যপালের হাতে করে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু অনুষ্ঠানে দেখা গেল না তাঁকে। কেন তিনি রাজভবনে উপস্থিত হলেন না সে কথা নিজেই টুইট করে জানালেন বিরোধী দলনেতা। টুইট করে শুভেন্দু অধিকারী লেখেন,’আমি এমন কোন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতেই যাই না। ওই আমলা মুখ্যমন্ত্রীর গোপন রাজনৈতিক অভিসন্ধি পূরণের জন্য কাজ করছেন। একদিকে শিক্ষা দূর্নীতির অভিযোগে জেলে রয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী ঠিক তখনই সকলের নতুন অন্যদিকে ঘোরানোর জন্যই এই চাল খেলছে তৃণমূল কংগ্রেস’।
বাংলা শেখার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন রাজ্যপাল সি বি আনন্দ বোস। আয়োজন করা হয়েছিল রাজভবনের তরফে। আজ সরস্বতী পূজোর দিনই হাতে খড়ি হয়ে গেল তাঁর। এক শিশুর হাত ধরে স্লেটে বর্ণমালা লিখলেন রাজ্যপাল। দিলেন গুরুদক্ষিণা। আর এই সব কিছুর সাক্ষী থাকলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বর্ণপরিচার হাত ধরেই বাংলা শেখা শুরু করে বাঙালিরা। সে কারণেই আমিও রাজ্যপালের হাতে তুলে দিলাম বর্ণপরিচয়। এদিন সকলকে বাংলা ভাষার গুরুত্ব বোঝালেন মুখ্যমন্ত্রী। বললেন মাতৃভাষার পাশাপাশি শেখা উচিত সব জায়গাকার আঞ্চলিক ভাষা।অনুষ্ঠান শেষে দিন মঞ্চে বক্তব্য রাখতে ওঠেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন,’আমি বাংলা শিখতে চাই। বাংলা খুবই সুন্দর একটা ভাষা। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আমার নায়ক’। এরপরই রাজ্যপালের মুখে শোনা যায়, জয় বাংলা, জয় হিন্দ ধ্বনি।