কলকাতা শহরের দীর্ঘস্থায়ী বর্ষা ও উত্তর কলকাতার জলজট সমস্যা মাথায় রেখে দ্রুত গতিতে নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে হৃষীকেশ পার্ক ড্রেনেজ পাম্পিং স্টেশনের। কলকাতা পুরসভার (KMC) তরফে জানানো হয়েছে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যেই অন্তত দুটি হেভি-ডিউটি পাম্প বসিয়ে স্টেশনটিকে আংশিকভাবে কার্যকর করা হবে, যাতে দুর্গাপূজোর আগে জল জমে না থাকে।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন এই পাম্পিং স্টেশনে মোট পাঁচটি শক্তিশালী পাম্প বসানো হবে, যা আমহার্স্ট স্ট্রিট, ঠনঠনিয়া, মক্তারামবাবু স্ট্রিট, সুকিয়াস স্ট্রিট, কেশব সেন স্ট্রিট, বিদ্যাসাগর সরণির একাংশ ও চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ের মতো জলজটপ্রবণ অঞ্চলের সমস্যার স্থায়ী সমাধান করবে।
পুরসভার ড্রেনেজ বিভাগের এক আধিকারিক জানান, উত্তর কলকাতার বিস্তীর্ণ অঞ্চলের জল সঞ্চালনের জন্য পুরনো ছোট পাম্পিং স্টেশনটি আর যথেষ্ট নয়। সেই ঘাটতি পূরণ করতেই প্রায় ৬০ কোটি টাকার প্রকল্পে হৃষীকেশ পার্কে তৈরি হচ্ছে আধুনিক ড্রেনেজ পাম্পিং স্টেশন।
কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম এই প্রকল্পে সবুজ সংকেত দিয়েছেন। জানা গিয়েছে, এক সময় কলকাতার প্রাক্তন মেয়র নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুও উত্তর কলকাতার এই অঞ্চলের জলনিকাশি ব্যবস্থার উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছিলেন।
এই প্রকল্পে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। আমহার্স্ট স্ট্রিটের বাসিন্দা সায়ন্তন ঘোষ বলেন, “বৃষ্টি হলেই জল জমে যায়। বছরের পর বছর ধরে আমরা কষ্ট পাচ্ছি। নতুন পাম্পিং স্টেশন যদি সময়মতো তৈরি হয়, তাহলে অনেকটাই উপকার পাব।”
মুক্তারামবাবু স্ট্রিটের ব্যবসায়ী সজল গুপ্ত বলেন, “প্রতি বছর বৃষ্টিতে ঘরবন্দি হয়ে পড়ি। দোকান খুলতে পারি না, ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নতুন পাম্পিং স্টেশন হলে আমাদের অনেক সমস্যার সমাধান হবে। আশা করছি, দ্রুত এর সুফল পাব।”
পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, আগামী বছর নতুন ড্রেনেজ পাম্পিং স্টেশনটি পুরোপুরি উদ্বোধন করা হবে। তবে আপাতত সেপ্টেম্বরের মধ্যেই আংশিকভাবে চালু করে কিছুটা স্বস্তি দিতে চায় কলকাতা পুরসভা।