কলকাতা পুরসভা (KMC) এবার বিপজ্জনক ও জরাজীর্ণ বাড়ির মালিকদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে। শুক্রবার সাপ্তাহিক টক টু মেয়র অনুষ্ঠানে মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান, নোটিশ দেওয়ার পরও যারা তাদের ভবনের মেরামতি করবেন না, তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হবে।
হাকিম বলেন, “গত কয়েক দিনে তিনটি ভবন ভেঙে পড়েছে। সৌভাগ্যবশত কোনও প্রাণহানি ঘটেনি। কিন্তু এই পরিস্থিতি যে কোনও সময় প্রাণঘাতী হতে পারে।” তিনি পুরসভার ঊর্ধ্বতন কর্তাদের নির্দেশ দেন, নোটিশপ্রাপ্ত বিপজ্জনক ভবনের মালিকদের বিরুদ্ধে দ্রুত এফআইআর দায়ের করতে।
পুরসভার পরিকল্পনা অনুযায়ী, নোটিশ পাওয়ার পর মালিকদের দুই থেকে তিন মাস সময় দেওয়া হবে। এই সময়ের মধ্যে ভবনের মেরামতির কাজ সম্পূর্ণ না হলে দ্বিতীয় পদক্ষেপ হিসাবে এফআইআর করা হবে এবং পুলিশকে জানানো হবে যে মালিক মেরামতির নির্দেশ মানেননি।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই পদক্ষেপের জন্য শীঘ্রই কলকাতা পুরসভা আইন, ১৯৮০-এর বিভিন্ন ধারার অধীনে একটি সরকারি নির্দেশিকা জারি করা হবে। এতে পুরসভার আধিকারিকরা আইনি ক্ষমতা পাবেন সরাসরি এফআইআর করার।
উত্তর ও মধ্য কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় বহু পুরনো ও ভগ্নপ্রায় বাড়ি বা ভবন রয়েছে, যাদের মেরামতির সময় অনেক আগেই পেরিয়ে গিয়েছে। মালিক ও ভাড়াটিয়াদের মধ্যে মামলা-মোকদ্দমা, অথবা মালিকদের নিজেদের মধ্যে বিবাদ মেরামতির প্রক্রিয়াকে দীর্ঘায়িত করে। এছাড়া, পুরনো ভাড়াটিয়ারা খুব কম ভাড়া দেওয়ায় সেই অর্থ দিয়ে মেরামতির খরচ জোগাড় করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।
মেয়র আরও জানান, পুরসভা সম্প্রতি তাদের বিল্ডিং রুলস সংশোধন করেছে, যাতে ভাড়াটিয়া-অধ্যুষিত জরাজীর্ণ ভবন ভেঙে নতুন ভবন নির্মাণ করা সহজ হয়। পুরসভা নতুন ভবনে ভাড়াটিয়াদের জন্য অকুপেন্সি সার্টিফিকেট দেবে, যা তাদের সেখানে থাকার নিশ্চয়তা দেবে। অন্যদিকে, মালিকদের অতিরিক্ত ফ্লোর এরিয়া তৈরির অনুমতি দেওয়া হবে, যা সাধারণ বিল্ডিং রুলসে থাকে না।
এই পদক্ষেপে পুরসভার আশা, একদিকে যেমন বিপজ্জনক ভবন ভেঙে পড়ে প্রাণহানির আশঙ্কা কমবে, অন্যদিকে শহরের পুরনো আবাসন সংস্কার ও পুনর্নির্মাণের গতি বাড়বে। পুরসভার এই কড়া অবস্থান মালিকদের দায়িত্ববোধ বাড়াতে কতটা সফল হয়, তা এখন সময়ই বলবে।
আরও পড়ুনছ
কলকাতা পুরসভা (KMC) এবার বিপজ্জনক ও জরাজীর্ণ ভবনের মালিকদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে। শুক্রবার সাপ্তাহিক টক টু মেয়র অনুষ্ঠানে মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান, নোটিশ দেওয়ার পরও যারা তাদের ভবনের মেরামতি করবেন না, তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হবে।
হাকিম বলেন, “গত কয়েক দিনে তিনটি ভবন ভেঙে পড়েছে। সৌভাগ্যবশত কোনও প্রাণহানি ঘটেনি। কিন্তু এই পরিস্থিতি যে কোনও সময় প্রাণঘাতী হতে পারে।” তিনি পুরসভার ঊর্ধ্বতন কর্তাদের নির্দেশ দেন, নোটিশপ্রাপ্ত বিপজ্জনক ভবনের মালিকদের বিরুদ্ধে দ্রুত এফআইআর দায়ের করতে।
পুরসভার পরিকল্পনা অনুযায়ী, নোটিশ পাওয়ার পর মালিকদের দুই থেকে তিন মাস সময় দেওয়া হবে। এই সময়ের মধ্যে ভবনের মেরামতির কাজ সম্পূর্ণ না হলে দ্বিতীয়বার এফআইআর করা হবে এবং পুলিশকে জানানো হবে যে মালিক মেরামতির নির্দেশ মানেননি।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই পদক্ষেপের জন্য শীঘ্রই কলকাতা পুরসভা আইন, ১৯৮০-এর বিভিন্ন ধারার অধীনে একটি সরকারি নির্দেশিকা জারি করা হবে। এতে পুরসভার আধিকারিকরা আইনি ক্ষমতা পাবেন সরাসরি এফআইআর করার।
উত্তর ও মধ্য কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় বহু পুরনো ও ভগ্নপ্রায় ভবন রয়েছে, যাদের মেরামতির সময় অনেক আগেই পেরিয়ে গিয়েছে। মালিক ও ভাড়াটিয়াদের মধ্যে মামলা-মোকদ্দমা, অথবা মালিকদের নিজেদের মধ্যে বিবাদ মেরামতির প্রক্রিয়াকে দীর্ঘায়িত করে। এছাড়া, পুরনো ভাড়াটিয়ারা খুব কম ভাড়া দেওয়ায় সেই অর্থ দিয়ে মেরামতির খরচ জোগাড় করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।
মেয়র আরও জানান, পুরসভা সম্প্রতি তাদের বিল্ডিং রুলস সংশোধন করেছে, যাতে ভাড়াটিয়া-অধ্যুষিত জরাজীর্ণ ভবন ভেঙে নতুন ভবন নির্মাণ করা সহজ হয়। পুরসভা নতুন ভবনে ভাড়াটিয়াদের জন্য অকুপেন্সি সার্টিফিকেট দেবে, যা তাদের সেখানে থাকার নিশ্চয়তা দেবে। অন্যদিকে, মালিকদের অতিরিক্ত ফ্লোর এরিয়া তৈরির অনুমতি দেওয়া হবে, যা সাধারণ বিল্ডিং রুলসে থাকে না।
এই পদক্ষেপে পুরসভার আশা, একদিকে যেমন বিপজ্জনক ভবন ভেঙে পড়ে প্রাণহানির আশঙ্কা কমবে, অন্যদিকে শহরের পুরনো আবাসন সংস্কার ও পুনর্নির্মাণের গতি বাড়বে। পুরসভার এই কড়া অবস্থান মালিকদের দায়িত্ববোধ বাড়াতে কতটা সফল হয়, তা এখন সময়ই বলবে।
আরও পড়ুন
- মেট্রো যাত্রীদের জন্য সুখবর, ১১ আগস্ট থেকে বাড়ছে ট্রেন ও পরিষেবার সময়
- বাংলা ভাষায় দোকানপাটের সাইনবোর্ড বাধ্যতামূলক, বার্তা মেয়র ফিরহাদ হাকিমের, পুর অধিবেশনেও জবাব বাংলাতে