কলকাতা বিমানবন্দর তার শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে যাত্রী ধারণক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে একটি বিশাল সম্প্রসারণ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। বিদ্যমান টার্মিনালের ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি, একটি নতুন টার্মিনাল ভবন নির্মাণ এবং সেকেন্ডারি রানওয়ে পুনঃকার্পেটিং প্রকল্প শুরু হবে। ২০৩২-৩৩ সালের মধ্যে বিমানবন্দরের যাত্রী ধারণক্ষমতা বার্ষিক ৪৫০ লক্ষে পৌঁছানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সম্প্রসারণ প্রকল্প
বর্তমানে ২৬০ লক্ষ যাত্রী বার্ষিক ধারণক্ষমতা নিয়ে পরিচালিত বিমানবন্দরের ক্ষমতা ২৮০ লক্ষ বাড়ানোর কাজ চলছে। এই মডুলার সম্প্রসারণে ১৩০ কোটি টাকা ব্যয় করা হচ্ছে। নতুন প্রকল্প শেষ হলে বোর্ডিং এবং সিকিউরিটি চেকের পর যাত্রীদের জন্য আরও বেশি স্থান দেওয়া সম্ভব হবে।
বিমানবন্দর পরিচালক প্রবত রঞ্জন বেউরিয়া জানিয়েছেন, “পুরানো ডোমেস্টিক টার্মিনাল ভেঙে ফেলার কাজ আগামী বছর শুরু হবে। একইসঙ্গে নতুন টার্মিনালের প্রথম পর্যায়ের নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হবে। সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী চললে কাজ ২০২৫ সালের শেষে শুরু হতে পারে।”
নতুন টার্মিনালের বৈশিষ্ট্য
নতুন টার্মিনাল ভবনটি বিদ্যমান লিনিয়ার টার্মিনালের তুলনায় সম্পূর্ণ ভিন্ন আকারে নির্মিত হবে। এখানে যাত্রী বোর্ডিং গেট থাকবে দু’দিকের টুইন কনকোর্সে। ফলে স্বল্প ফ্রন্টেজের মধ্যেও অনেক বেশি বিমানের স্থান হবে।
প্রথম ধাপের নির্মাণ শেষ হলে বিদ্যমান এয়ার ট্রাফিক ন্যাভিগেশন (ATN) পরিষেবা একটি নতুন ভবনে স্থানান্তরিত হবে। এরপর দ্বিতীয় ধাপে টার্মিনাল ভবনের কাজ শুরু হবে।
রানওয়ে এবং নতুন ATC টাওয়ার
বিমানবন্দরের সেকেন্ডারি রানওয়েটির উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ২২৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি, নতুন ATC টাওয়ার এবং টেকনিক্যাল কমপ্লেক্সও শীঘ্রই চালু হবে। বর্তমানে সরঞ্জাম সরবরাহে বিলম্বের কারণে কাজ কিছুটা পিছিয়েছে। তবে, পরবর্তী তিন মাসে নতুন টাওয়ারের মাধ্যমে পুরো ATC পরিচালনা স্থানান্তরিত হবে।
যাত্রী ধারণক্ষমতার বৃদ্ধির লক্ষ্য
নতুন টার্মিনালটি একত্রিত আন্তর্জাতিক ও ডোমেস্টিক ফ্লাইট পরিচালনা করবে, যেখানে বিদ্যমান টার্মিনালটি শুধুমাত্র ডোমেস্টিক ফ্লাইটের জন্য ব্যবহার হবে।