আরজি কর হাসপাতালে সাম্প্রতিক হিংসাত্মক হামলার বিষয়ে শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। বৈঠকের শুরুতেই তিনি দুটি ভিডিয়ো দেখান, যেখানে আন্দোলনের মুহূর্তগুলো ধরা পড়েছে। একটিতে দেখা যায়, কিভাবে হাজার হাজার মানুষ হাসপাতালে প্রবেশ করছেন এবং আরেকটিতে ধোঁয়া ছড়িয়ে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত করা হচ্ছে।
পুলিশ কমিশনার জানান, স্বতঃস্ফূর্তভাবে গড়ে ওঠা জমায়েত নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন, বিশেষত যেখানে কোনো নেতা নেই। সারা কলকাতা জুড়ে যে জমায়েতের ঘটনা ঘটেছিল, তা শান্তিপূর্ণ হবে বলে আশা করেছিল পুলিশ। তবে, আন্দোলন যে হঠাৎ হিংসাত্মক হয়ে উঠবে, তা পুলিশ অনুমান করতে পারেনি। এই ব্যাপারে সিপি বিনীত গোয়েল বলেন, “এটি আমাদের ব্যর্থতা বললে বলতে পারেন।” তিনি জানান, আরজি কর হাসপাতালে ডিসিপি পর্যায়ের পুলিশও মোতায়েন ছিল, কিন্তু হামলায় ডিসিপির আহত হওয়ার ফলে পুলিশ বাহিনী কিছু সময়ের জন্য ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে।
আরজি করের ঘটনার পর সমাজমাধ্যমে নানা গুজব ছড়িয়ে পড়ছে। পুলিশ কমিশনার গুজব না ছড়ানোর অনুরোধ করেন এবং বলেন, “আমাদের প্রমাণ ছাড়া কাউকে ধরার সুযোগ নেই। আমরা কাউকে বাঁচানোর চেষ্টা করছি না। প্রমাণের অপেক্ষায় আছি। দয়া করে গুজব ছড়াবেন না।”
আরজি করের তদন্ত এখন সিবিআইয়ের হাতে, তাই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার প্রতি ভরসা রাখতে বলেন সিপি। তিনি আশ্বাস দেন, সিবিআই প্রমাণ-সহ কাজ করবে এবং এই ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করবে।
বুধবারের হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ কমিশনার। এছাড়া, একটি আধিকারিক জানান যে, মৃতার পরিবারের সঙ্গে পুলিশ যোগাযোগ করেনি এবং আত্মহত্যার কোনও কথাও পুলিশ বলেনি। তাই এই নিয়ে অযথা গুজব ছড়ানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
হামলার মুহূর্তের ব্যাখ্যায় সিপি জানান, ডিসিপির মাথায় আঘাতের ফলে ফোর্স সাময়িকভাবে ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে, যা সামলাতে কিছুটা সময় লেগেছে। এর ফলে পুলিশের উপর হামলা হয় এবং পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে।
মৃতার ময়নাতদন্তের ভিডিয়ো সিবিআইকে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং সিপি জানান, “স্বচ্ছতার জন্য আর কী করা প্রয়োজন, আমার জানা নেই।”