কলকাতা শহরের দূষণ নিয়ন্ত্রণে আধুনিক প্রযুক্তির পথে হাঁটল কলকাতা পুলিশ। ইস্ট কলকাতা ওয়েটল্যান্ডসে (পূর্ব কলকাতা জলাভূমি) অবৈধ দখলদারি এবং প্লাস্টিক, জৈব বর্জ্য পোড়ানোর মতো দূষণ সৃষ্টিকারী কার্যক্রম নজরে রাখতে এবার মোতায়েন করা হবে ড্রোন। ইতিমধ্যেই ১১ লক্ষ টাকার বিনিময়ে দুইটি বিশেষ উদ্দেশ্যে নির্মিত ড্রোন কেনার জন্য টেন্ডার জারি হয়েছে।
২০১৩ সালে কলকাতা পুলিশ প্রথমবার ড্রোন ব্যবহার শুরু করে। তবে ২০১৮ সাল থেকে এই প্রযুক্তি ব্যবহারের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এবার আরও উন্নত ড্রোনের মাধ্যমে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও অপরাধ অনুসন্ধানের বাইরেও দূষণ নিয়ন্ত্রণে নজরদারি চালানো হবে। প্রতি ড্রোনের ওজন ৭০০ গ্রাম এবং এটি একটানা তিন ঘণ্টা পর্যন্ত ৭২ কিমি প্রতি ঘণ্টা বা তার বেশি গতিতে চলতে সক্ষম। ড্রোনগুলি স্বয়ংক্রিয় ভার্টিক্যাল টেক-অফ এবং ল্যান্ডিং প্রযুক্তিসম্পন্ন।
কলকাতা পুলিশ ৩১ কোটি টাকার সরঞ্জাম তালিকায় দুটি রিমোট সেনসিং ডিভাইস, ৪০০টি লাইসেন্স রিডার ক্যামেরা এবং চারটি ড্রোন অন্তর্ভুক্ত করেছে। এগুলির মধ্যে প্রতিটি রিমোট সেনসিং ডিভাইসের দাম ৩ কোটি টাকা। ক্যামেরাগুলি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে ১৫ বছরের পুরনো যানবাহন শনাক্ত করবে।
একজন পুলিশের আধিকারিক বলেন, “রাস্তার ধীরগতির যানবাহন, পুরনো গাড়ির চলাচল এবং আবর্জনা পোড়ানোর মতো কারণে দূষণ বাড়ছে। প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই সমস্যাগুলি মোকাবিলা করা সম্ভব। ড্রোন মোতায়েন সেই দিশায় এক নতুন পদক্ষেপ।”
২০১৩ সালে দুর্গাপুজোয় ভিড় নিয়ন্ত্রণে ড্রোন ব্যবহার শুরু করে কলকাতা পুলিশ। এরপর থেকে বহুতলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা, রাতে সন্দেহজনক যানবাহন পর্যবেক্ষণ সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে। এবার দূষণ রোধেও ড্রোনের ব্যবহার এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।