Home খবর কলকাতা পুজোর আগে ডেঙ্গির থাবা, শহরের একাধিক বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি রোগী

পুজোর আগে ডেঙ্গির থাবা, শহরের একাধিক বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি রোগী

পুজোর আগে শহরে বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। একাধিক বেসরকারি হাসপাতালে একসঙ্গে ১০ থেকে ২০ জন রোগী ভরতি। প্লেটলেট কমে যাওয়া থেকে শুরু করে রক্তক্ষরণ পর্যন্ত গুরুতর উপসর্গ ধরা পড়ছে।

dengue cases ahead of Durga Puja

দুর্গাপুজোর আগেই চিন্তার ভাঁজ ফেলছে ডেঙ্গি সংক্রমণ।  সম্প্রতি কলকাতায় বিপুল পরিমাণে বৃষ্টি সেই ভাঁজকে আরও তীব্র করেছে। গত তিন মাসে যেখানে একাধিক বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গির রোগী সংখ্যা দুই-তিন জনের বেশি ছিল না, বর্তমানে প্রতিটি হাসপাতালে ১০ থেকে ২০ জন করে রোগী ভরতি রয়েছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কয়েকজন রোগীর অবস্থা ছিল গুরুতর, তবে বেশিরভাগই চিকিৎসার পরে সেরে উঠছেন।

 মৃত্যুর ঘটনা

গত ১৬ সেপ্টেম্বর শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়েছে এক রোগীর। এটিই এখন পর্যন্ত কলকাতায় নথিভুক্ত সর্বশেষ ডেঙ্গি মৃত্যু। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বেসরকারি হাসপাতালগুলির পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে। 

বেসরকারি হাসপাতালগুলির পরিস্থিতি

মণিপাল হাসপাতাল, মুখুন্দপুর:
একজন ১৬ বছরের কিশোরকে ডেঙ্গি হেমোরেজিক ফিভার-এ গুরুতর অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছিল। চিকিৎসক সায়ন চক্রবর্তী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “ছেলেটি খুবই সঙ্কটজনক অবস্থায় এসেছিল, তবে এখন বিপদ কেটে গেছে। গত এক সপ্তাহে অন্তত চারজন রোগী ভরতি হয়েছেন, যাঁদের মধ্যে তিনজনের প্লেটলেট মারাত্মকভাবে নেমে গিয়েছিল, একজনের প্লেটলেট ছিল ২০,০০০-এরও কম। একজন রোগীর রক্তক্ষরণও হয়েছিল। তবে সবাই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। পুজোর সময়ে আরও রোগী ভরতির আশঙ্কা করছি।”

উডল্যান্ডস হাসপাতাল
এখানে রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০-১১ জনে। দীপনারায়ণ মুখার্জি, ইনফেকশন কন্ট্রোল ইন-চার্জ, বলেন, “হঠাৎ এই বৃদ্ধি সরাসরি বৃষ্টির সঙ্গে যুক্ত নয়। প্রবল বর্ষণে লার্ভা ভেসে যায়। তবে জল জমে থাকলে তার প্রভাব দুই-তিন সপ্তাহ পরে দেখা দেবে।”

চর্ণক হাসপাতাল
প্রায় ১৯ জন রোগী ভরতি, যার মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। গ্রুপ সিইও রূপালি বসু  বলেন, “১৬ সেপ্টেম্বর এক রোগী গুরুতর অবস্থায় অন্য হাসপাতাল থেকে আনা হয়েছিল। ভর্তি হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মৃত্যু হয়।”

পিয়ারলেস হাসপাতাল
এখানে আপাতত তিনজন ডেঙ্গি রোগী ভর্তি। প্রতিদিন অন্তত একজন করে রোগী পজিটিভ ধরা পড়ছে বলে জানিয়েছেন চিফ মাইক্রোবায়োলজিস্ট ভাস্কর নারায়ণ চৌধুরী

উপসর্গ

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আক্রান্তদের মধ্যে সাধারণত উচ্চ জ্বর, শরীরে ব্যথা, চোখের বলের ব্যথা, বমিভাব ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিচ্ছে। কয়েকজনের ক্ষেত্রে তীব্র প্লেটলেট হ্রাস এবং রক্তক্ষরণ দেখা গেছে। তবে এ বছর এখন পর্যন্ত গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল সমস্যা ডেঙ্গির উপসর্গ হিসেবে চোখে পড়েনি।শহরে ডেঙ্গির প্রকোপ ধীরে ধীরে বাড়ছে।

চিকিৎসকদের আশঙ্কা, পুজোর ভিড়ের সময়ে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। তাই সতর্কতা অবলম্বন, জমা জল পরিষ্কার এবং মশা প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়াই এখন প্রধান অগ্রাধিকার।

আরও পড়ুন: নিম্নচাপ ঘনীভূত, শনিবার স্থলভাগে প্রবেশ, পুজোয় কি বৃষ্টি হবে?

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version