চেন্নাইকে পিছনে ফেলে বাড়ি বিক্রিতে নতুন মাইলফলক স্পর্শ করতে চলেছে কলকাতা। আন্তর্জাতিক রিয়েল এস্টেট পরামর্শদাতা সংস্থা জেএলএল-এর সমীক্ষা অনুযায়ী, ২০২৪ সালের শেষে কলকাতায় বিক্রি হওয়া বাড়ির সংখ্যা ১৭,০০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে। এই বিক্রির আর্থিক মূল্য প্রায় ১২,০০০ কোটি টাকার কাছাকাছি হবে বলে অনুমান। জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কলকাতায় ১৩,৫০০টিরও বেশি বাড়ি বিক্রি হয়েছে, যার আর্থিক মূল্য ৮,৮৬৯ কোটি টাকা।
এই সময়ে কলকাতায় বিক্রি হওয়া বাড়িগুলির মোট নির্মিত এলাকা ১৫.২ মিলিয়ন বর্গফুট।
অন্যদিকে, চেন্নাইয়ে জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯,২৬৩টি বাড়ি বিক্রি হয়েছে, যা কলকাতার তুলনায় ৩২% কম। তবে, কলকাতার বাড়িগুলি তুলনামূলকভাবে সস্তা হওয়ায়, মোট বিক্রয়মূল্য চেন্নাইয়ের চেয়ে মাত্র ১০% বেশি। চেন্নাইয়ে বিক্রি হওয়া বাড়িগুলির মোট এলাকা ১২.৩ মিলিয়ন বর্গফুট।
এই সময়কালে সর্বোচ্চ বাড়ি বিক্রি হয়েছে বেঙ্গালুরুতে, সংখ্যাটি ৫১,৫১২। এর পরেই রয়েছে মুম্বই, যেখানে ৫০,২০৯টি বাড়ি বিক্রি হয়েছে।
মূল্যের দিক থেকে সর্বোচ্চ বিক্রির রেকর্ড রয়েছে দিল্লি এনসিআর-এ, যেখানে মোট বিক্রির পরিমাণ ১.২ লাখ কোটি টাকা। মুম্বই ছিল দ্বিতীয় স্থানে, যেখানে বাড়ি বিক্রির মোট মূল্য ৯৪,৮৮৩ কোটি টাকা।
বিক্রি হওয়া নির্মিত এলাকার হিসাবে দিল্লি এনসিআর প্রথম স্থানে রয়েছে, সেখানে ৮ কোটি ৯৯ লক্ষ বর্গফুট এলাকা বিক্রি হয়েছে। বেঙ্গালুরু দ্বিতীয় স্থানে, ৭ কোটি ৩৫ লক্ষ বর্গফুট বিক্রি হয়েছে।
জেএলএল ইন্ডিয়ার চিফ ইকোনমিস্ট এবং গবেষণা প্রধান সমন্তক দাস বলেন, “ভারতের আবাসন বাজার শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে এবং ২০২৪ সাল এই খাতের জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ বছর হতে চলেছে। বছরের শেষে শীর্ষ সাতটি শহরে ৩ লাখেরও বেশি বাড়ি, যার মূল্য ৫.১ লাখ কোটি টাকা এবং মোট ৪ কোটি ৮৫ লক্ষ বর্গফুট এলাকা বিক্রি হওয়ার আশা করা হচ্ছে। জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শীর্ষ সাতটি শহরে প্রায় ২.৩ লাখ বাড়ি বিক্রি হয়েছে, যার আর্থিক মূল্য ৩.৮ লাখ কোটি টাকা। এই বৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি ছিল দিল্লি এনসিআর-এ প্রিমিয়াম হাউজিং প্রকল্পগুলির চাহিদা।”
তাপমাত্রায় বড়ো পতনের ইঙ্গিত, নির্ধারিত সময়ের আগেই জোরালো ঠান্ডা আসছে দক্ষিণবঙ্গে