শহর কলকাতার অন্যতম পর্যটনস্থল হল সুপ্রাচীন আলিপুর চিড়িয়াখানা। শীতের মরসুম শুরু হতেই ভিড় বাড়তে শুরু করেছে চিড়িয়াখানায়। কচিকাঁচাদের নিয়ে শীতের সময় এক দিনের ছুটিতে চিড়িয়াখানার মতো দর্শনীয় স্থানে ঘুরতে গিয়ে টিকিট কাটতেই দীর্ঘ সময় কেটে যায়৷ এ বার আর সেই দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট বুকিং করার হ্যাপা থাকছে না৷ চিড়িয়াখানায় পৌঁছে অনলাইনে টিকিট কাটা যাবে৷
আলিপুর চিড়িয়াখানার নিজস্ব ওয়েবসাইট www.kolkatazoo.in – এর মাধ্যমে অনলাইনে এই টিকিট কাটা যাবে৷ উল্লেখ্য, আগে চিড়িয়াখানার এই ওয়েবসাইট থেকে আগাম অনলাইন টিকিট কাটা যেত৷ তবে তা অনন্ত ৩ মাস থেকে এক দিন আগে পর্যন্ত কাটা যেত৷ তবে, এখন চিড়িয়াখানার গেটে পৌঁছে, সেখান থেকেই তৎক্ষণাৎ অনলাইনে টিকিট কেটে ভেতরে ঢুকতে পারবেন দর্শনার্থীরা। এর পাশাপাশি, রাজ্য সরকারের ‘যাত্রী সাথি’ অ্যাপের মাধ্যমেও টিকিট কাটা যাবে।
আনুষ্ঠানিক ভাবে এই অনলাইনে টিকিট কাটা প্রক্রিয়ার সোমবার উদ্বোধন করেন রাজ্যের বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা৷ ঠান্ডা পড়তেই চিড়িয়াখানায় ভিড় বাড়তে শুরু করেছে৷ আগামী দিনগুলিতে এই ভিড় আরও বাড়বে৷ ফলে দীর্ঘ লাইন ও ভিড় কমাতে অনলাইনে টিকিট কাটা চালু হলে তাতে দর্শকদের সুবিধা হবে বলে মনে করছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ৷
চিড়িয়াখানায় বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। ছবি: রাজীব বসু।
ওই দিন চিড়িয়াখানায় পাখিদের একটি নতুন এনক্লোজারেরও উদ্বোধন করলেন বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা৷ এই এনক্লোজারে পাখিরা থাকবে খোলা আকাশের নীচে৷ আর তাদের দেখতে মানুষকে ঢুকতে হবে, কাচ ঘেরা খাঁচার মধ্যে৷ আলিপুর চিড়িয়াখানার ১৫০ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম বার এমন ব্যবস্থা চালু করা হল৷
তবে পাখিরা এই এনক্লোজারে পুরোপুরি মুক্ত নয়৷ একটি নির্দিষ্ট উচ্চতার পর লোহার খাঁচা দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে৷ ১০০ মিটার সুড়ঙ্গের মধ্যে দিয়ে গিয়ে দর্শনার্থীরা পাখিদের এনক্লোজারে গিয়ে পৌছোঁবেন। বার্ড ওয়াক লম্বায় ৫৫-৬০ মিটার। দু’ দিকে রয়েছে দরজা। চওড়ায় ২৫-৩০ মিটার। পাখিদের নতুন এনক্লোজারে ২০ ফুট উঁচুতে কাচের ঘেরাটোপ থাকবে।
এই এনক্লোজারে ব্রাহ্মণী হাঁস, বার-হেডেড গুজ, নব-বিলড্ ডাক, ময়ূর, গোল্ডেন ফেজ্যান্ট, রেড জঙ্গল ফাউল, প্যারাকিট, ঘুঘু, বারবেটের মতো ১৪ রকমের বিভিন্ন প্রজাতির ২০০টি পাখি আছে৷ বাস্তু মেনে পাখিদের ঘরগুলি তৈরি করা হয়েছে বলে দাবি চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের৷ এমনকি পাখিদের সঙ্গে সেলফিও তুলতে পারবেন দর্শনার্থীরা৷ নয়া এই ব্যবস্থায় খুশি তাঁরা৷