আরজি কর হাসপাতালে ঘটে যাওয়া হামলার ঘটনায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে ভুয়ো ভিডিও তৈরি এবং ছড়ানোর অভিযোগ তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার স্বাধীনতা দিবসের চা-চক্র শেষে রাজভবন থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময়, তিনি এ অভিযোগ করেন। মমতার দাবি, এই ঘটনার পেছনে বিরোধী দলগুলির হাত রয়েছে, যারা বাংলায় অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
বুধবার রাতে আরজি কর হাসপাতালে ‘মেয়েদের রাত দখল’ কর্মসূচির সময় হামলার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার প্রসঙ্গে মমতা বলেন, “এই হামলার জন্য সিপিএম ও বিজেপি দায়ী। বাম এবং রাম একত্রিত হয়ে এই অশান্তি সৃষ্টি করেছে। তাঁরা বাংলার শান্তি নষ্ট করতে চাইছে। তবে যারা এ কাজ করেছে, তারা কোনও ছাত্রছাত্রী নয়। বহিরাগত রাজনৈতিক কর্মীরা এই ঘটনার জন্য দায়ী।”
এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভুয়ো ভিডিও তৈরি ও ছড়ানোর প্রসঙ্গে মমতা বলেন, “এখন প্রযুক্তি এতটাই উন্নত যে যে কোনও ভিডিওতে যে কোনও ব্যক্তির মুখ বসিয়ে দেওয়া যায়। এমনকি, মিথ্যা অডিওও তৈরি করা সম্ভব। অনেক ভুয়ো ভিডিও সমাজমাধ্যমে ছড়ানো হচ্ছে, যাতে মানুষ বিভ্রান্ত হয়। আমি সাধারণ মানুষকে অনুরোধ করব, এ ধরনের ভিডিওতে যেন কেউ বিশ্বাস না করেন। পুলিশ এর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেবে।”
মমতা আরও বলেন, আরজি কর হামলায় পুলিশ আক্রান্ত হয়েছে। তিনি জানান, কলকাতা পুলিশের ডিসি (নর্থ) গুরুতর আহত হয়েছেন এবং তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছে। তবে পুলিশ ধৈর্য হারায়নি এবং কোনও পাল্টা আক্রমণ করেনি।
আরজি কর-কাণ্ডে ক্ষোভে ফুঁসে উঠলেন বলিউড তারকারা, প্রতিবাদ করিনা, প্রীতি জিন্টাদের
এই হামলার ফলে হাসপাতালের অনেক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “দামি ওষুধ নষ্ট করা হয়েছে, জরুরি বিভাগে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়েছে।” তবে তিনি চিকিৎসকদের অনুরোধ করেছেন যাতে তাঁরা কাজে ফিরে আসেন, কারণ তাঁদের সমস্ত দাবি ইতিমধ্যে মেনে নেওয়া হয়েছে।
মমতা জানিয়েছেন, আরজি কর কাণ্ডের তদন্ত অনেকটাই এগিয়েছে এবং সেই তথ্য সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তবে তিনি আবারও আবেদন করেছেন, কোনও নির্দোষ ব্যক্তি যেন এই ঘটনার জন্য শাস্তি না পান।