শতবর্ষ পূর্তি উদযাপন করছে কলকাতা বিমানবন্দর। ১৯২৪ সালে যাত্রা শুরু করে বর্তমানে দেশের ষষ্ঠতম ব্যস্ত বিমানবন্দর হয়ে উঠেছে এটি। যাত্রী সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় এবার বিমানবন্দর আধুনিকীকরণের পথে হাঁটল এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (এএআই)।
আধুনিকীকরণের পরিকল্পনা
বিমানবন্দরের আধুনিকীকরণের অংশ হিসেবে সম্প্রসারণ করা হচ্ছে টার্মিনাল বিল্ডিং। নতুনভাবে তৈরি হবে ৭১ হাজার বর্গফুটের বিস্তৃত টার্মিনাল, যার চার ভাগের তিন ভাগ থাকবে আন্তর্জাতিক যাত্রীদের জন্য। ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই কাজ সম্পূর্ণ করার লক্ষ্য নিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
নতুন এটিসি ও রানওয়ে সম্প্রসারণ
১৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হয়েছে নতুন এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি) টাওয়ার। বর্তমানে পরীক্ষামূলকভাবে দিনে দুই ঘণ্টা কাজ শুরু হয়েছে। ২০২৫ সালের শুরুতেই পুরোপুরি কার্যকর হবে এটিসি টাওয়ার।
দ্বিতীয় রানওয়ে সম্প্রসারণের কাজও চলছে ২২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে। এতে বাড়বে বিমান চলাচলের সুবিধা ও সুরক্ষা।
আন্তর্জাতিক সংযোগ বৃদ্ধি
বর্তমানে বিশ্বের ১৯টি শহরের সঙ্গে সরাসরি বিমান যোগাযোগ রয়েছে কলকাতা বিমানবন্দরের। লন্ডনের সঙ্গে বিমান পরিষেবা চালুর জন্যও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে দেশের ৫৫টি শহরের সঙ্গে রয়েছে সরাসরি যোগাযোগ।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
কলকাতা বিমানবন্দরকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সংযোগ হাব হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রের। বিমানবন্দরের ধারণ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি সিকিউরিটি চেকিং পয়েন্ট এবং যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যে খাবার ও কেনাকাটার দোকান তৈরি করা হবে।
বর্ধিত যাত্রী সংখ্যা
বর্তমানে বছরে দুই কোটির বেশি যাত্রী যাতায়াত করে কলকাতা বিমানবন্দরের মাধ্যমে। তবে আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যে এই সংখ্যা তিন কোটিতে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
বিমানবন্দরের অধিকর্তা প্রভাতরঞ্জন বেউড়িয়া জানিয়েছেন, “ভবিষ্যৎ যাত্রী বৃদ্ধির কথা মাথায় রেখে সকল আধুনিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
উদ্বোধনের অপেক্ষায়
প্রতিদিন বাড়তে থাকা যাত্রী সংখ্যা এবং আন্তর্জাতিক সংযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে আধুনিকীকরণের এই পদক্ষেপ কলকাতা বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানের করে তুলবে বলে আশা করা হচ্ছে।