Home খবর কলকাতা গার্ডেননরিচ কাণ্ডে সম্পূর্ণ রিপোর্ট জমা পড়ার আগে ৩ ইঞ্জিনিয়ারকে সাসপেন্ড করল পুরসভা

গার্ডেননরিচ কাণ্ডে সম্পূর্ণ রিপোর্ট জমা পড়ার আগে ৩ ইঞ্জিনিয়ারকে সাসপেন্ড করল পুরসভা

0

গার্ডেনরিচে বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটি তৈরি করেছিল কলকাতা পুরসভা। সেই তদন্ত কমিটির রিপোর্ট জমা পড়তে তিন ইঞ্জিনিয়ারকে সাসপেন্ড করল পুরসভা। তবে পুরসভার এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, কমিটির তদন্ত এখনও শেষ হয়নি। তদন্তের নিরপেক্ষতা বজায় রাখার জন্য ওই ইঞ্জিনিয়ারদের পুরসভা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বহুতল ভেঙে পড়ার পর ঘটনার তদন্ত করতে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে কলকাতা পুরসভা। এই কমিটিকে মোট আটটি বিষয়ে তদন্ত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। শুক্রবার ওই কমিটি ছ’টি বিষয়ের তদন্ত রিপোর্ট পুর কমিশনার ধবল জৈনের কাছে জমা দেয়। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই ওই ইঞ্জিনিয়ারদের সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তদন্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেই তাঁদের আবার কাজে যোগদান করার অনুমতি দেওয়া হতে পারে। কারণ, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর ওই ইঞ্জিনিয়াদের ভুলত্রুটি বোঝা সম্ভব হবে।

এর আগে ঘটনার কয়েক দিনের মধ্যেই ওই ইঞ্জিনিয়ারদের বিল্ডিং বিভাগ থেকে সরিয়ে অন্যত্র বদলি করা হয়। শুরু হয় বিভাগীয় তদন্ত। সেই তদন্ত প্রক্রিয়ার মধ্যেই সাসপেন্ড করা হল ইঞ্জিনিয়ারদের।

কমিটির রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, ‘রিইনফোর্সমেন্ট সিমেন্ট কংক্রিট’ ঠিক ছিল না। সঙ্গে ‘রাফট ফুটিং’ অর্থাৎ ভিতে বিন্দুমাত্র কংক্রিটের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি বাড়িটির ভিতরে।‌ এ ছাড়াও নির্মাণকাজের ক্ষেত্রে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছিল বলে ওই রিপোর্টে উঠে এসেছে। কোনও রকম স্ট্রাকচারাল ডিজাইন ছাড়াই ওই বহুতলটি নির্মাণ করা হয়েছিল বলে রিপোর্টে এসেছে।

তবে নির্মাণ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে এখনও তদন্ত বাকি রয়েছে। এখনও পর্যন্ত মাটি পরীক্ষার কাজ শুরু করা যায়নি বলেই কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় মাটি পরীক্ষার দায়িত্বে রয়েছে। এই কাজে বেশ কয়েক মাস সময় লাগতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।

গত ১৭ মার্চ কলকাতা পুরসভার ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে একটি নির্মীয়মাণ বহুতল ভেঙে পড়ে ৮ জনের মৃত্যু হয়। পরে আরও ৫ জন মারা যান। সেই সময় ১৫ নম্বর বরোর তিনি ইঞ্জিনিয়ারকে সাসপেন্ড করা হয়।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version