খবর অনলাইন ডেস্ক: ‘তিলোত্তমা’র বিচার চেয়ে, আরজি কর কাণ্ডের বিচার চেয়ে মহানগরীতে প্রতিবাদ মিছিলে রাশ পড়ছে না। শনিবারও তার ব্যতিক্রম ছিল না। এদিন উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম, শহরের বিভিন্ন জায়গায় মিছিল বেরিয়েছে। বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলেছে জমায়েত। এই সব মিছিল-জমায়েত ছিল অরাজনৈতিক।
এদিন ছিল বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ডুরান্ড কাপ ফাইনালের খেলা। সপ্তাহদুয়েক আগে ডুরান্ডে ডার্বি ম্যাচ বন্ধ করে দিয়ে কোনো লাভ হয়নি। বরং কলকাতা ময়দানের তিন প্রধানের সমর্থকরা যখনই সুযোগ পাচ্ছেন, প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। গত বৃহস্পতিবার তিন প্রধানের সমর্থকরা মহানগরে প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করেন।

শনিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে সবুজ-মেরুন সমর্থকরা হাজির হয়েছিলেন বিশাল ব্যানার নিয়ে। গ্যালারির বিভিন্ন জায়গায় তাঁদের দেখা যায়। কোনোটায় লেখা ‘আমরা প্রতিবাদ করতে জানি’। কোনোটায় লেখা কবিতা – ‘যাদের অতীত সোনায় মোড়া/ বাবলু চুনী মান্না/ তাদের রাতের ঘুম কেড়েছে/ তিলোত্তমার কান্না/ রক্তচক্ষু ভয় পাই না/ বোনের বিচার চাই/ দোষীর মুখোশ খুলবো টেনে/ থামার প্রশ্ন নাই।’

বিভিন্ন স্কুলের প্রাক্তনীরা মহানগরের পথে মিছিল বের করেন। যাদবপুর আদর্শ বালিকা শিক্ষায়তনের প্রাক্তনীরা মিছিল করেন যাদবপুর ঝিল রোড থেকে গোলপার্ক হয়ে গড়িয়াহাট পর্যন্ত।

সিপিএম নেতা কান্তি গাঙ্গুলির স্কুল যাদবপুর হাই স্কুলের প্রাক্তনীরাও এদিন মিছিল করে পথে নেমেছিলেন। মিছিলের পুরোভাগে ছিলেন ওই স্কুলের ১৯৬০ সালের প্রাক্তনী কান্তি গাঙ্গুলি।

আরও বেশ কিছু স্কুলের প্রাক্তনীরাও ‘তিলোত্তমা’র বিচার চেয়ে মিছিল করেন।
ছবি: রাজীব বসু
আরও পড়ুন