Home খবর কলকাতা টালির নালা সংস্কারে ৮০০ কোটি টাকার প্রকল্প, উপকৃত হবেন কয়েক লক্ষ মানুষ

টালির নালা সংস্কারে ৮০০ কোটি টাকার প্রকল্প, উপকৃত হবেন কয়েক লক্ষ মানুষ

টালির নালা সংস্কারে ৮০০ কোটি টাকার প্রকল্প
টালির নালা সংস্কারে ৮০০ কোটি টাকার প্রকল্প

কলকাতা পুরসভা (KMC) টালির নালা বা আদি গঙ্গার পুনরুজ্জীবনে ৮০০ কোটি টাকার বিশাল প্রকল্পের কাজ শুরু করতে চলেছে। বিশ্বব্যাঙ্কের তহবিলে চালিত এই প্রকল্পটি আদি গঙ্গার ধারণক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি নালার দু’পাশের নিকাশি ব্যবস্থার পূর্ণ সংস্কার করবে। খিদিরপুর (দই ঘাট) থেকে গড়িয়া পর্যন্ত বিস্তৃত এই প্রকল্পে উপকৃত হবেন লক্ষ লক্ষ বাসিন্দা।

পুরসভা সূত্রে জানা গেছে, এটি রাজ্যের কোনো একক পরিকাঠামো খাতে সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। প্রকল্পটি ২০২৫ সালের শুরুতে শুরু হয়ে ২০২৭ সালের শেষের দিকে সম্পন্ন হবে। পুরসভার এক আধিকারিক জানান, “কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে বিশ্বব্যাঙ্কের মাধ্যমে পুরো অর্থের ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং এটি ‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্পের আওতায় অনুমোদিত।”

এই প্রকল্পের আওতায় পুরসভা আদি গঙ্গার খনন করবে। এই আদি গঙ্গা ২৮টি KMC ও তিনটি রাজপুর-সোনারপুর পৌরসভার ওয়ার্ডের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত। এর পাশাপাশি তিনটি প্রধান সিউয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (STP) তৈরি হবে এবং ২৩টি ড্রেনেজ পাম্পিং স্টেশনের ক্ষমতা বাড়ানো ও পুনর্নির্মাণ করা হবে।

ঢালাই ব্রিজ (গড়িয়া), গল্ফ গার্ডেন এবং বাঁশদ্রোনী এলাকায় এই তিনটি STP নির্মাণ করা হবে। এগুলি থেকে ২৮টি KMC ওয়ার্ড এবং তিনটি রাজপুর-সোনারপুর পৌরসভার বাড়িগুলির বর্জ্য জল পরিশোধিত হবে। পুর আধিকারিকদের মতে, “বর্তমানে আদি গঙ্গায় সরাসরি বর্জ্য জল ফেলা হয়, যা দূষণের প্রধান কারণ। প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে শুধুমাত্র পরিশোধিত জল নালায় ফেলা হবে। এর ফলে জল দূষণ কমবে এবং বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত হবে।”

মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান, প্রকল্পটি কার্যকর করতে খিদিরপুর থেকে গড়িয়া পর্যন্ত প্রায় ৫০ কিমি এলাকায় নতুন ড্রেনেজ পাইপলাইন বসানো হবে। এই পাইপলাইনগুলি ড্রেনেজ পাম্পিং স্টেশনগুলিকে প্রস্তাবিত STP-র সঙ্গে যুক্ত করবে। “জল পরিশোধনের প্রক্রিয়া শুরু হলে নালার জলের রঙ উল্লেখযোগ্যভাবে বদলাবে, এবং বাসিন্দারা দূষণমুক্ত পরিবেশ পাবেন,” তিনি জানান।

তবে, ড্রেনেজ পাম্পিং স্টেশনগুলির ক্ষমতা বাড়ানো প্রকল্পের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। পুর আধিকারিকদের মতে, “কিছু পাম্পিং স্টেশন ভেঙে নতুনভাবে তৈরি করতে হতে পারে।”

প্রকল্প সম্পন্ন হলে টালির নালার খননের মাধ্যমে বর্ষাকালে হেস্টিংস, কালিঘাট, চেতলা, বাঁশদ্রোনী, কুদঘাট এবং গড়িয়া এলাকার জল জমার সমস্যা অনেকটাই কমবে। পুরসভার দাবি, এই প্রকল্পের ফলে লক্ষ লক্ষ বাসিন্দা জল জমার সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।

📰 আমাদের পাশে থাকুন

নিরপেক্ষ ও সাহসী সাংবাদিকতা টিকিয়ে রাখতে খবর অনলাইন আপনার সহায়তা প্রয়োজন। আপনার ছোট্ট অনুদান আমাদের সত্য প্রকাশের পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।

💠 সহায়তা করুন / Support Us

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version