শিয়ালদহ স্টেশনের কাছে পুলিশের কিয়স্কে ঘটে গেল ভাঙচুরের ঘটনা। বাসে শুরু হওয়া গন্ডগোলের জেরে পুলিশ কিয়স্কে বাঁশ হাতে ভাঙচুর চালানো হয়। ঘটনায় ইতিমধ্যেই একজনকে গ্রেফতার করেছে মুচিপাড়া থানার পুলিশ। ধৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের কাজে বাধা দেওয়া, হামলা এবং ভাঙচুরের অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে।
সোমবার চলন্ত বাসে এক মহিলার শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে। সেই বাসের যাত্রীরা এক ব্যক্তিকে হাতেনাতে ধরে শিয়ালদহ স্টেশনের ট্রাফিক গার্ডের হাতে তুলে দেন। ধৃত ব্যক্তির নাম বিশ্বকর্মা সাউ (৫১), যিনি বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের বাসিন্দা। পুলিশ অভিযুক্তকে কিয়স্কে বসিয়ে রাখে।
এরপর, অভিযুক্তের খবর পেয়ে তাঁর পরিচিতরা ভিড় জমাতে শুরু করেন শিয়ালদহ স্টেশনের কাছে ট্রাফিক কিয়স্কে। অভিযোগ, তাঁরা বিশ্বকর্মাকে ছেড়ে দেওয়ার দাবিতে পুলিশের উপর হামলা চালান। বাঁশ হাতে হামলাকারীরা কিয়স্কের কাচের জানলা ভেঙে ফেলে। যদিও এই ঘটনায় কোনও পুলিশকর্মী আহত হননি, তবে ঘটনার পর শিয়ালদহ চত্বরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হামলাকারীদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেও পুলিশ ব্যর্থ হয়। অনেকে মনে করছেন, অভিযুক্ত বিশ্বকর্মাকে ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্যই এই হামলা চালানো হয়। স্থানীয়রা বলছে, পুলিশের সামনেই কিয়স্ক ভাঙচুর করা হয়। শিয়ালদহর মতো জায়গায় কী করে পুলিশের সামনেই কিয়স্কে তাণ্ডবের ঘটনা ঘটল তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে নিরাপত্তা।
পুলিশ সূত্রে খবর, হামলা এবং ভাঙচুরের ঘটনায় কয়েকজনকে আটক করা হয়। পাশাপাশি, গ্রেফতার করা হয়েছে এক জনকে। লালবাজারের গোয়েন্দারা তদন্ত শুরু করেছেন। বাসে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এবং কিয়স্কে হামলার দুটি ঘটনারই তদন্ত চলছে।