অফিসে ফিরছেন ভারতের বৃহত্তম তথ্যপ্রযুক্তি পরিষেবা সংস্থা টাটা কনসালট্যান্সি সার্ভিসেস বা টিসিএস (TCS)-এর কর্মীরা। সংস্থার দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ৭০ শতাংশ কর্মী অফিসে এসে কাজ করছেন। প্রতি সপ্তাহেই এই সংখ্যা বাড়ছে। উল্লেখযোগ্য ভাবে, অফিসে এসে কাজ করার বিনিময়ে পরিবর্তনশীল বেতন নীতি সংশোধন করার কয়েক মাসেই মধ্যেই এই পটপরিবর্তন।
২০২৫ আর্থিক বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকের আয়-ব্যয়ের রিপোর্ট পেশ করার সময় টিসিএস-এর প্রধান মানবসম্পদ আধিকারিক মিলিন্দ লক্কড় জানান, যেসব কর্মী সপ্তাহে পাঁচ দিন অফিসে এসে কাজ করার পদ্ধতি মেনে চলেন না, তাঁদের জরিমানা করা হয়েছিল। যদিও সেই আর্থিক জরিমানার পরিমাপ সম্পর্কে বিশদ কিছুই জানাননি তিনি।
এ ব্যাপারে তিনি বলেন, “অফিসে এসে কাজ না করলে কোনো কর্মীর উপর তার প্রভাব পড়তে বাধ্য়। তবে সেই প্রভাব কতটা, সে সম্পর্কে কোনো তথ্য দিতে চাই না। মূলত কর্মক্ষেত্রে শৃঙ্খলার দিক থেকে আমরা এসব করছি।”
একইসঙ্গে তিনি বলেন, “এ ব্যাপারে আমি বিশেষ চিন্তিত নই। কারণ, পরিস্থিতির উপর আমার আস্থা রয়েছে। কর্মীরা অফিসে আসার মূল্য বুঝতে পেরেছেন। এঁদের মধ্যে অনেকেই এই প্রথম বার অফিসে আসছেন। কারণ, কোভিড মহামারি চলাকালীন তাঁরা টিসিএস-এ যোগ দিয়েছিলেন। সবমিলিয়ে একটা ইতিবাচক শক্তি তৈরি হয়েছে।”
গত এপ্রিল মাসে পরিবর্তনশীল বেতন নীতি তৈরি সংশোধন করেছে টিসিএস। ওই নীতি অনুযায়ী কোনো কর্মীর বেতন পেতে অফিসে এসে কাজ করাকেই মূল নির্ধারক হিসাবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এই নীতিটি চারটি ভাগে বিভক্ত। সেটা স্থির করা হয়েছে, কোন কর্মী কতদিন অফিসে এসে কাজ করছেন, তার উপর নির্ভর করে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, টিসিএসের কোনো কর্মী যদি ৬০ শতাংশের কম সময় অফিসে এসে কাজ করেন, তা হলে তিনি ওই ত্রৈমাসিকের জন্য নতুন পরিবর্তনশীল বেতন নীতির সুবিধা পাবেন না। যাদের উপস্থিতি ৬০-৭৫ শতাংশ, তাঁরা নিজেদের পরিবর্তনশীল বেতনের অর্ধেক পাবেন। এ ভাবেই ৭৫-৮৫ শতাংশ উপস্থিতি হলে পরিবর্তনশীল বেতনের তিন-চতুর্থাংশ পাবেন।
শুধুমাত্রা সেই সমস্ত কর্মচারী পরিবর্তনশীল বেতনের সম্পূর্ণ অংশ পাবেন, যাঁদের উপস্থিতি ৮৫ শতাংশের বেশি। পরিবর্তনশীল বেতন পাওয়ার জন্য এটাই সর্বোচ্চ উপস্থিতির হার।
আরও পড়ুন: চালু হচ্ছে মাধ্যমিক স্কুলের নবম শ্রেণির পড়ুয়াদের অনলাইন রেজিস্ট্রেশন, চলবে ১৫ জুলাই থেকে ৩১ আগস্ট
