নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। এই নামটা শুনলেই মনে এক অদ্ভুত দোলাচল শুরু হয়। তিনি একমাত্র রাষ্ট্রনায়ক যার জন্ম বৃত্তান্ত সম্পর্কে জানা গেলেও মৃত্যু সম্পর্কে আজও কিছুই জানা যায়নি। তিনি আজও অমর হয়ে রয়েছেন প্রতিটি ভারতবাসীর মনে। এই মহান ব্যক্তির বেশ কিছু উক্তি আজও অনুপ্রেরণা জাগায় প্রতিটি দেশবাসীকে।
“তোমরা আমায় রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব” নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর এই উক্তি যেমন সকলেই শুনেছেন সেই রকম আরও কিছু বার্তা তিনি দিয়েছিলেন দেশবাসীকে যা আজও যুবসমাজকে পথ দেখায়। অনুপ্রেরণা দেয় গোটা দেশবাসীকে।
দেশবাসীর জন্য মহান এই ব্যাক্তির বিশেষ বার্তা
“মানুষ যতদিন বেপরোয়া, ততদিন সে প্রাণবন্ত।”
“নরম মাটিতে জন্মেছে বলেই বাঙালির এমন সরল প্রাণ”।
“আমাদের সবচেয়ে বড়ো জাতীয় সমস্যা হল, দারিদ্র, অশিক্ষা, রোগ, বৈজ্ঞানিক উত্পাদন। যে সমস্যাগুলির সমাধান হবে, কেবলমাত্র সামাজিকভাবনা চিন্তার দ্বারা।”
“জগতের সব কিছু ক্ষণভঙ্গুর। শুধু একটা জিনিস ভাঙে না, সে বস্তু, ভাব বা আদর্শ।”
“প্রকৃতির সঙ্গ ও শিক্ষা না পাইলে, জীবন মরুলোকে নির্বাসনের মতো, সকল রস ও অনুপ্রেরণা হারায়।”
“জীবনে প্রগতির আশা নিজেকে ভয়, সন্দেহ থেকে দূরে রাখে এবং তার সমাধানের প্রয়াস চালাতে থাকে।”
“ভারত ডাকছে। রক্ত ডাক দিয়েছে রক্তকে। উঠে দাঁড়াও আমাদের নষ্ট করার মতো সময় নেই। অস্ত্র তোলো!..যদি ভগবান চান , তাহলে আমরা শহিদের মৃত্যু বরণ করব।”
“বাস্তব বোঝা কঠিন। তবে জীবনকে সত্যতার পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। সত্যকে গ্রহণ করতে হবে।”
“মানুষ, টাকাকড়ি ,বাহ্যিক আড়ম্বর দিয়ে জয়লাভ বা স্বাধীনতা কেনা যায় না। আমাদের আত্মশক্তি থাকতে হবে, যা সাহসী পদক্ষেপ নিতে উত্সাহ দেবে।”
“নিজের প্রতি সত্য হলে বিশ্বমানবের প্রতি কেউ অসত্য হতে পারে না।”
“যদি জীবনে সংগ্রাম, ঝুঁকি না থাকে , তাহলে জীবন বাঁচাটা অনেকটা ফিকে হয়ে যায়।”
“স্বাধীনতা দেওয়া হয় না, ছিনিয়ে নিতে হয়।”
“কোনও একটা চিন্তনের জন্য একজন মৃত্যুবরণ করতে পারেন। কিন্তু সেই চিন্তনের মৃত্যু হয় না। সেই চিন্তন একজনের মৃত্যুর পর হাজার জনের মধ্যে ছড়িয়ে যায়।”
“শুধু আলোচনার মাধ্যমে ইতিহাসের কোনো আসল পরিবর্তন সাধিত হয়নি।”
“মনে রাখতে হবে যে সবচেয়ে বড়ো অপরাধ হল অন্যায়ের সঙ্গে আপস।”