খবরঅনলাইন ডেস্ক: দেশ জুড়ে পালিত হচ্ছে মহাত্মা গান্ধীর ১৫৪তম জন্মবার্ষিকী। এই উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতারা রাজঘাটে জাতির জনক-এর প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে মহাত্মা গান্ধী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। ভারতকে ঔপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্ত করার জন্য গান্ধীজি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন। মহাত্মা গান্ধীকে ‘বাপু’ নামে ডেকে আপন করে নিয়েছিল দেশের সাধারণ মানুষ।
মহাত্মা গান্ধী ছিলেন অহিংসার প্রচারক। তিনি রক্তপাতের প্রচণ্ড বিরোধী ছিলেন। তিনি প্রমাণ করার চেষ্টা করেছিলেন অহিংস আন্দোলনের মাধ্যমেও লক্ষ্য পূরণ করা যায়। সারা বিশ্বে অহিংসার বার্তা ছড়িয়ে দিতে তাই এ দিনটি ‘আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবস’ হিসাবেও পালন করা হয়।
গান্ধীজির জন্মদিন উপলক্ষ্যে এ দিন অমদাবাদে সবরমতী আশ্রমের ‘হৃদয় কুঞ্জ’-এ এক প্রার্থনাসভার আয়োজন করা হয়।
এ দিন রাজঘাটে গান্ধীজির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
‘এক্স’ হ্যান্ডেলে পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, “গান্ধী জয়ন্তীর বিশেষ দিনে আমি মহাত্মা গান্ধীর কাছে প্রণত হই। তাঁর চিরন্তন শিক্ষা আমাদের পথকে আলোকিত করে চলেছে। মহাত্মা গান্ধীর প্রভাব বিশ্বব্যাপী। ঐক্য ও দয়ার মনোভাব জাগিয়ে তুলতে সমগ্র মানবসমাজকে তিনি প্রেরণা জোগান। তাঁর স্বপ্নপূরণের জন্য আমরা যেন সব সময় একযোগে কাজ করতে পারি। সর্বত্র ঐক্য ও সম্প্রীতি গড়ে তুলতে যে পরিবর্তনের স্বপ্ন তিনি দেখেছিলেন, তাঁর চিন্তাভাবনা যেন প্রতিটি তরুণকে সেই পরিবর্তনের প্রতিনিধি করে গড়ে তুলতে পারে।”
ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু রাজঘাটে গিয়ে মহাত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
গান্ধীজির জন্মস্থান পোরবন্দরের কীর্তি মন্দিরে যান গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেল। তিনি সেখানে জাতির জনক-এর প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
পটেল তাঁর পোস্টে লিখেছেন, “সারা বিশ্বকে সত্যাগ্রহের অস্ত্র দিয়েছিলেন বাপু। সব সময় সত্যের পাশে থেকে এবং প্রচণ্ড শক্তিশালী সেনার বিরুদ্ধে দৃঢ় থেকে কী ভাবে বাঁচতে হয় তা শিখিয়েছিলেন তিনি। সমগ্র মানবসমাজকে প্রেরণা জোগানোর জন্য বাপুর জীবন চিরন্তন উৎস হয়ে থাকবে।”
রাজঘাটে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহাত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা জানান জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খরগে।
আরও পড়ুন
রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে আগাছার জঙ্গল, অবহেলায় জীর্ণ হচ্ছে সোদপুরে গান্ধীজির ‘দ্বিতীয় বাড়ি’