অরূপ চক্রবর্তী, গুয়াহাটি: রবিবার বিকেল ৪টা ৪১ মিনিটে অসম কেঁপে উঠল প্রবল ভূমিকম্পে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫.৯। হঠাৎ প্রবল ঝাঁকুনিতে আতঙ্কিত হয়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন মানুষ। কোথাও গৃহস্থালির আসবাব দুলেছে, কোথাও দেওয়ালে ফাটল ধরার খবর মিলেছে। যদিও বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর এখনও আসেনি, আতঙ্ক রয়ে গেছে সাধারণ মানুষের মনে।
তেজপুর শহরে ভূমিকম্পের সময় হৃরোগে আক্তান্ত হয়ে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার সময় তিনি ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন। অচামকা ভূমিকম্পে তিনি হতচকিত হয়ে পড়েন। সেই সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়।
ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র ছিল ঢেকিয়াজুলি থেকে প্রায় ১৬ কিলোমিটার দূরে, ভূপৃষ্ঠ থেকে অল্প গভীরে। শুধু অসম নয়, এর প্রভাব অনুভূত হয়েছে বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান, এমনকি প্রতিবেশী চিন ও মিয়ানমারেও। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমেও এ খবর গুরুত্ব সহকারে প্রকাশিত হয়েছে।
রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জেলা প্রশাসনগুলোকে মাঠপর্যায়ে খোঁজখবর নিতে বলা হয়েছে এবং দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আপাতত প্রাণহানির খবর নেই, তবে অবকাঠামোগত ক্ষতির ইঙ্গিত মিলেছে।
ভূমিকম্পের এই ঘটনাকে ঘিরে নতুন করে আলোচনায় উঠেছে উত্তর-পূর্ব ভারতের ভৌগোলিক নাজুকতা। বিশেষজ্ঞরা বরাবরই সতর্ক করেছেন, এই অঞ্চল ভূমিকম্পপ্রবণ এবং বড়সড় বিপর্যয়ের ঝুঁকি এখানে থেকেই যাচ্ছে। রবিবারের এই কম্পন তাই আবারও মনে করাল প্রস্তুতির প্রয়োজনীয়তার কথা।