Home খবর দেশ সলমন খানকে হত্যা করার জন্য ২৫ লাখ টাকার সুপারি, পাকিস্তান থেকে AK-47:...

সলমন খানকে হত্যা করার জন্য ২৫ লাখ টাকার সুপারি, পাকিস্তান থেকে AK-47: চার্জশিট

0

বলিউড তারকা সলমন খানকে হত্যা করার জন্য ২৫ লাখ টাকার চুক্তি নেওয়া হয়েছিল বলে নবি মুম্বই পুলিশের দাখিল করা চার্জশিটে জানানো হয়েছে। এই পরিকল্পনাটি তার মহারাষ্ট্রের পনভেল ফার্মহাউসের কাছে ঘটানোর ছক ছিল।

চার্জশিটে পাঁচজন অভিযুক্তের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে যে জেলে থাকা গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের নেতৃত্বাধীন গ্যাং সলমনকে খুনের সুপারি নিয়েছিল। অভিযুক্তরা পাকিস্তান থেকে AK-47, AK-92 এবং M-16-এর মতো অত্যাধুনিক অস্ত্র সংগ্রহের পরিকল্পনা করেছিল। তারা তুরস্কে তৈরি জিগানা অস্ত্রও সংগ্রহ করতে চেয়েছিল, যেটি পঞ্জাবি গায়ক সিদ্ধু মুসেওয়ালাকে হত্যার জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল।

অভিযুক্তরা ১৮ বছরের কম বয়সি ছেলেদের সলমন খানকে হত্যা করার জন্য নিয়োগ করেছিল, যারা বর্তমানে পুনে, রায়গড়, নবি মুম্বই, থানে এবং গুজরাতে গা ঢাকা দিয়েছে। প্রায় ৬০ থেকে ৭০ জন ব্যক্তি সলমন খানের গতিবিধি অনুসরণ করছিল, বিশেষ করে তাঁর বান্দ্রার বাড়ি, পনভেলের ফার্মহাউস এবং গোরেগাঁও ফিল্ম সিটির আশপাশে তারা নজরদারি চালাচ্ছিল।

তদন্তে জানা গেছে, হরিয়ানার পানিপথ থেকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার হওয়া সুক্কা, মূল শ্যুটার অজয় কাশ্যপ ও আরও চারজনকে এই হত্যার দায়িত্ব দিয়েছিল। কাশ্যপ ও তার দলের রেকির পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, সলমন খানের নিরাপত্তা ও বুলেটপ্রুফ গাড়ির কারণে অত্যাধুনিক অস্ত্র ব্যবহার করতে হবে।

সুক্কা পাকিস্তানভিত্তিক অস্ত্র ব্যবসায়ী দোগরের সঙ্গে ভিডিও কলে যোগাযোগ করে, যেখানে দোগর একটি শালে মোড়ানো AK-47 এবং অন্যান্য অত্যাধুনিক অস্ত্র দেখায়। অস্ত্র সরবরাহের শর্তাদি নিয়ে আলোচনা করার সময় সুক্কা অগ্রিম ৫০ শতাংশ টাকা দেওয়ার সম্মতি জানায় এবং বাকিটা অস্ত্র ভারতে পৌঁছানোর পর দেওয়ার কথা জানায়।

এছাড়াও, চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে যে, শ্যুটাররা কানাডা ভিত্তিক গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রার এবং লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাই অমল বিষ্ণোইয়ের অনুমতির জন্য অপেক্ষা করছিল।

পুলিশের তদন্তে আরও জানা গেছে, সলমন খানকে হত্যা করার পর শ্যুটাররা কন্যাকুমারীতে একত্রিত হওয়ার পরিকল্পনা করেছিল, সেখান থেকে তারা নৌকায় করে শ্রীলঙ্কায় পালিয়ে যাবে এবং তারপর এমন দেশে চলে যাবে যেখানে ভারতীয় তদন্ত সংস্থা তাদের ধরতে পারবে না।

এদিকে, সলমন খানের বান্দ্রার বাড়ির বাইরে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে। সম্প্রতি এনসিপি নেতা ও মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকিকে হত্যার পর তাঁর বাড়ির বাইরে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। বাবা সিদ্দিকি বান্দ্রার প্রাক্তন বিধায়ক এবং অজিত পওয়ারের এনসিপি গোষ্ঠীর নেতা ছিলেন।


NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version