Home খবর দেশ তিব্বতে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত্যু অন্তত ১২৬ জনের, কম্পন অনুভূত ভারত-সহ একাধিক দেশে

তিব্বতে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত্যু অন্তত ১২৬ জনের, কম্পন অনুভূত ভারত-সহ একাধিক দেশে

0

মঙ্গলবার সকালে তিব্বতের বিস্তীর্ণ অঞ্চল পরপর ছ’টি ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে। এর মধ্যে একটি ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল রিখটার স্কেলে ৭.১, যা সবচেয়ে শক্তিশালী বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে অন্তত ১২৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে এবং আহত হয়েছেন ৩৮ জন।

ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল তিব্বতের শিজাং প্রদেশে, যা নেপাল-তিব্বত সীমান্তের কাছে অবস্থিত। চিনের সরকারি সংবাদ সংস্থা শিংহুয়া জানিয়েছে, ভূমিকম্পটি মাটি থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে সংঘটিত হয়। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক সমীক্ষক সংস্থা (USGS) জানিয়েছে, এটি ভারত ও ইউরেশিয়া প্লেটের সংঘর্ষস্থলে ঘটে, যা হিমালয়ের উচ্চতা পরিবর্তনে প্রভাব ফেলতে পারে।

প্রথম ভূমিকম্পটি সকাল ৬টা ৩৫ মিনিটে ঘটে, যার তীব্রতা ছিল রিখটার স্কেলে ৭.১। এর কিছুক্ষণ পর সকাল ৭টা ০২ মিনিটে ৪.৭ মাত্রার এবং সকাল ৭টা ০৭ মিনিটে ৪.৯ মাত্রার আরও দুটি ভূমিকম্প হয়। ভূমিকম্পের কেন্দ্র শিজাং প্রদেশের এপিসেন্টারটি তিব্বতের রাজধানী লাসা থেকে ৩৮০ কিলোমিটার দূরে এবং শিগাতসে শহর থেকে ২৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

এই শক্তিশালী ভূমিকম্পের কম্পন নেপাল, ভুটান এবং ভারতের একাধিক অঞ্চলে অনুভূত হয়। বিহারের রাজধানী পটনা ছাড়াও মুজফফরপুর, সমস্তিপুর, পুর্নিয়া, ভাগলপুর ও মুঙ্গেরে কম্পন টের পাওয়া যায়। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গাতেও কম্পন অনুভূত হয়।

নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতেও এই ভূমিকম্পের প্রভাব পড়ে। আতঙ্কিত বাসিন্দারা ঘর ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। চিনের শিগাতসে শহর ও আশেপাশের অঞ্চলে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। চিনের প্রশাসন এবং উদ্ধারকারী দল ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণের জন্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

এই ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধারকাজ চলছে।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version