নয়াদিল্লি: ছত্তীসগড়ের নারায়ণপুর জেলার দক্ষিণ আবুজমাড়ের গভীর জঙ্গলে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ। সাত জন মাওবাদী নিহত। বৃহস্পতিবার ভোরে শুরু হওয়া এই সংঘর্ষে পুলিশ এবং সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) যৌথ বাহিনী অংশগ্রহণ করে।
বাস্তার পুলিশের মতে, ভোর ৩টা নাগাদ দান্তেওয়াড়া-নারায়ণপুর সীমান্ত সংলগ্ন ঘন জঙ্গলে গুলির লড়াই শুরু হয়। সংঘর্ষ শেষে, নিরাপত্তা বাহিনী সাত জন ইউনিফর্ম পরিহিত মাওবাদীর মৃতদেহ উদ্ধার করে।
এই অভিযানে নারায়ণপুর, দান্তেওয়াড়া, বাস্তার এবং কোন্দাগাঁও জেলার জেলা রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি) এবং সিআরপিএফ-এর দল অংশগ্রহণ করে। বাস্তার রেঞ্জের আইজি পি সুন্দররাজ জানিয়েছেন, এলাকায় তল্লাশি অভিযান এখনও চলছে এবং বিস্তারিত তথ্য শীঘ্রই জানানো হবে।
ছত্তীসগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণুদেব সাই এই অভিযানের প্রশংসা করে বলেন, “আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী একটি সফল অভিযান চালিয়ে সাত মাওবাদীকে নির্মূল করেছে। আমি যৌথ বাহিনীর সদস্যদের সাহসিকতাকে স্যালুট জানাই।”
এর আগে, বুধবার, বিজাপুর জেলায় একটি আইইডি বিস্ফোরণে ডিআরজির দুই সদস্য আহত হন এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে আরও একজন মাওবাদী নিহত হয় বলে জানান এক আধিকারিক।
চলতি বছর দক্ষিণ বাস্তার জোনে পৃথক এনকাউন্টারে নিরাপত্তা বাহিনী মাওবাদীদের নিষ্ক্রিয় করার পর এখনও পর্যন্ত ২১৪ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাস্তার রেঞ্জের সাতটি মাওবাদী প্রভাবিত জেলার মধ্যে দান্তেওয়াড়া ও নারায়ণপুর অন্যতম।
১৫ ডিসেম্বর থেকে দু’দিনের সফরে বাস্তার সফরে যাওয়ার কথা ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। এর আগে ‘মাওবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াই চূড়ান্ত পর্যায়ে’ ঘোষণা করে তিনি বলেছিলেন যে ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে দেশ মাওবাদী সমস্যা থেকে মুক্ত হবে।
আরও পড়ুন: ঝাড়খণ্ড সীমান্তে ঘোরাফেরা করছে জিনাত, নজরে পশ্চিমবঙ্গ বনদপ্তর