রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া (RBI) জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ১৯ মে-তে প্রচলিত ২০০০ টাকার নোটের মধ্যে ৯৮.১২ শতাংশ ব্যাংকিং ব্যবস্থায় ফেরত এসেছে। ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত জনসাধারণের হাতে এখনও ৬,৬৯১ কোটি টাকা মূল্যের ২০০০ টাকার নোট রয়েছে।
২০২৩ সালের ১৯ মে-তে ৩.৫৬ লক্ষ কোটি টাকা মূল্যের ২০০০ টাকার নোট প্রচলিত ছিল। ২০২৪ সালের শেষে সেই সংখ্যা নেমে এসেছে ৬,৬৯১ কোটিতে।
প্রত্যাহার প্রক্রিয়া এবং চলমান সুবিধা
২০২৩ সালের ১৯ মে ২০০০ টাকার নোট প্রত্যাহারের ঘোষণা করে আরবিআই। ৭ অক্টোবর ২০২৩ পর্যন্ত ব্যাংক শাখাগুলিতে এই নোট জমা বা বদল করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। যদিও নির্ধারিত সময়সীমার পরেও, আরবিআই-এর ১৯টি ইস্যু অফিসে এই পরিষেবা এখনও চালু রয়েছে।
ডাকঘরের মাধ্যমে জমার সুযোগ
২০২৩ সালের ৯ অক্টোবর থেকে, ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান আরবিআই-এর ইস্যু অফিসে ২০০০ টাকার নোট জমা করতে পারছেন। এছাড়া ডাকঘরের মাধ্যমে এই নোট আরবিআই অফিসে পাঠানোর ব্যবস্থাও চালু রয়েছে।
আইনি স্বীকৃতি এবং বর্তমান পরিস্থিতি
২০০০ টাকার নোট এখনো বৈধ মুদ্রা হিসেবেই বিবেচিত হয়। জনসাধারণ এটি ব্যাংকে জমা বা পরিবর্তনের সুযোগ পাচ্ছেন।
আরবিআই-এর ইস্যু অফিসের তালিকা
২০০০ টাকার নোট গ্রহণ করছে যে আরবিআই অফিসগুলি:
- অমদাদাবাদ
- বেঙ্গালুরু
- বেলাপুর
- ভোপাল
- ভুবনেশ্বর
- চণ্ডীগড়
- চেন্নাই
- গুয়াহাটি
- হায়দরাবাদ
- জয়পুর
- জম্মু
- কানপুর
- কলকাতা
- লখনউ
- মুম্বই
- নাগপুর
- নয়াদিল্লি
- পটনা
- তিরুবনন্তপুরম
কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, ২০০০ টাকার নোট প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয়েছে এবং সামগ্রিক মুদ্রার লেনদেনে বড় কোনও প্রভাব পড়েনি।