পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। মঙ্গলবার মহাকুম্ভকে “মৃত্যু কুম্ভ” বলে অভিহিত করেছিলেন মমতা। বুধবার সেই মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া জানান আদিত্যনাথ। প্রয়াগরাজে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে মৃত্যুর ঘটনায় সব মৃত্যুকে কুম্ভের সঙ্গে যুক্ত করার প্রচেষ্টাকে নস্যাৎ করে তিনি বিরোধীদের সনাতন ধর্মের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ করেন।
উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় বক্তৃতা করার সময় আদিত্যনাথ বলেন, “সব মৃত্যুই মহাকুম্ভের জন্য হয়েছে, এমন বলা ঠিক নয়। আগের কুম্ভগুলোতে ৮০০ জন ভক্তের মৃত্যু হয়েছিল। যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের পরিবারের পাশে সরকার রয়েছে এবং আমরা যথাসম্ভব সাহায্য করব।”
তিনি আরও বলেন, “ মহাকুম্ভ কোনও রাজনৈতিক ইস্যু নয়। এই অনুষ্ঠান কোনও নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের নয়, এটি সমাজের আধ্যাত্মিক এবং সাংস্কৃতিক উৎসব। সরকার শুধুমাত্র এর আয়োজনের দায়িত্ব পালন করছে”।
একই সঙ্গে তিনি দাবি করেন, কুম্ভমেলায় এখনও পর্যন্ত ৫৬ কোটি ২৫ লক্ষেরও বেশি পুণ্যার্থী স্নান করেছেন। কোনও ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ করার অর্থ ওই ৫৬ কোটি মানুষের বিশ্বাসকে নিয়ে খেলা করা। যোগী বুধবার উত্তরপ্রদেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের রিপোর্ট তুলে ধরেন। তাঁর দাবি, বুধবার ত্রিবেণি সঙ্গমের কাছে গঙ্গায় বিওডির মাত্রা লিটারপিছু তিন মিলিগ্রামের কম ছিল। ডিজ়লভ্ড অক্সিজেন (ডিও)-র মাত্রা লিটারপিছু ৮-৯ মিলিগ্রামের মধ্যে ছিল। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এর মানে সঙ্গমের জল শুধু স্নানযোগ্যই নয়, ‘আচমন’ (পবিত্র জল পানের রেওয়াজ)-এরও যোগ্য।”
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাজ্য বিধানসভায় মমতা বলেন, “এটি ‘মৃত্যু কুম্ভ’। আমি মহাকুম্ভকে সম্মান করি, গঙ্গা মাকেও সম্মান করি। কিন্তু এখানে কোনও পরিকল্পনা নেই… কতজন মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে? ধনী ও ভিআইপিদের জন্য এক লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ করে তাঁবু নেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে, কিন্তু গরিবদের জন্য কোনও ব্যবস্থা নেই। মেলাতে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়, তবে প্রশাসনের উচিত সঠিক পরিকল্পনা করা। আপনাদের পরিকল্পনা কী?”