পীর পাঞ্জাল রেঞ্জের দক্ষিণে সন্ত্রাসবাদীদের সংখ্যা ক্রমশ বেড়েছে। এই ঊর্ধ্বগতি মোকাবিলায় সেনাবাহিনী জম্মু অঞ্চলে আরও ৩ হাজার সেনা পাঠিয়েছে। এমনকি জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদীও শনিবার অপারেশনাল পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে এই অঞ্চলে যাচ্ছেন বলে সূত্রের খবর।
সেনা সূত্রের খবর, “জম্মু অঞ্চলের বাইরে থেকে একটি ব্রিগেড হেড কোয়াটার, তিনটি পদাতিক ব্যাটালিয়ন এবং এলিট প্যারা-স্পেশাল ফোর্সের কিছু দল গত কয়েকদিন ধরে জম্মু অঞ্চলে পাঠানো হয়েছে।”তবে এটাই যথেষ্ট নয়। বাইরে থেকে আরও বাহিনী পাঠানোর কথা ভাবছে সেনা।
সূত্রটি জানিয়েছে ,“এই অতিরিক্ত সৈন্যরা জম্মু অঞ্চলে চলমান সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানকে আরও জোরদার করবে। এর পর সিএপিএফ (কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী) থেকে আরও সৈন্য অন্তর্ভুক্ত করা হবে।”
সেনাবাহিনী জম্মু অঞ্চলে লুকিয়ে থাকা “বিদেশি (পাকিস্তান থেকে আসা) সন্ত্রাসবাদীদের” নির্মূল করতে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের সঙ্গে “একটি যৌথ ও সমন্বিত অভিযান” পরিচালনা করছে। এই এলাকায় সীমান্তের ওপার থেকে উপত্যকায় অনুপ্রবেশের সহজ পথ রয়েছে বলে জানিয়েছে সেনা।
এই সব জঙ্গিদের কাছে রয়েছে অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র। এমপি-ফোর অ্যাসল্ট রাইফেল, স্টিল-কোর বুলেট এবং হাই-এনক্রিপ্টটেড যোগাযোগ সরঞ্জামের মতো আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত এবং সুপ্রশিক্ষিত জঙ্গিরা এই অঞ্চলে ঘাঁটি গাড়ছে। সেখান থেকেই আক্রমণের জন্য এগিয়ে আসে এবং তারপর আবার ঘন জঙ্গলে ঘেরা উঁচু অঞ্চলে পিছু হটে। জঙ্গল ঘেরা পাহাড়ি অঞ্চলে গা ঢাকা দেয় তারা।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, কাশ্মীর বেশ কিছু সময় ধরে আপাত শান্ত থাকায় সেখানে সেনা মোতায়েনের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছিল। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আগাম পদক্ষেপ দরকার।
আরও পড়ুন: কোটা সংস্কার আন্দোলন: বাংলাদেশে কারফিউ দেশ জুড়ে, সেনা মোতায়েন