হায়দরাবাদ: ইভিএম মেশিনে গোলযোগ-সহ ছোটোখাটো দু-একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া তেলঙ্গানায় বিধানসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ পর্ব শান্তিতেই চলছে। সকাল ১১টা পর্যন্ত ২০.৬৪ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে নির্বাচন কমিশনের সূত্রে জানা গিয়েছে।
জনগাঁও শহরের এক পোলিং বুথে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ বাঁধে। কংগ্রেসকর্মীরা এক ব্যক্তিকে পোলিং বুথের বাইরে টেনে আনেন। তাঁকে তাঁরা ভোট দিতে দিছিলেন না। সেই নিয়ে ঝামেলা। পুলিশের হস্তক্ষেপে অশান্তি বেশি দূর গড়ায়নি।
কামারেড্ডি বিধানসভা কেন্দ্রের ২৫৩ নং বুথে ইভিএম মেশিনে গোলযোগের জন্য সকাল ৮টা নাগাদ ভোটগ্রহণ বন্ধ হয়ে যায়। মিনিট ৪৫ পরে আবার ভোট নেওয়া শুরু হয়।
রাজ্যের ৩৩টি জেলার ৩৫,৬৫৫ ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ পর্ব শুরু হয় সকাল ৭টায়। ১ লক্ষ ৮৫ হাজারেরও বেশি ভোটকর্মী এই ভোটগ্রহণের কাজে যুক্ত রয়েছেন। এ ছাড়াও রয়েছেন ২২ হাজারের মতো পর্যবেক্ষক।
রাজ্যের ৩ কোটি ৫৬ লক্ষ ভোটার তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। তাঁরা ২২৯০ জন প্রার্থীর মধ্য থেকে তাঁদের পছন্দমতো প্রার্থী বেছে নেবেন। রাজ্যের ১১৯টি বিধানসভা আসনের সব ক’টিতে প্রার্থী দিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর-এর দল ভারত রাষ্ট্র সমিতি (বিআরএস, পূর্বতন তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি)। বিআরএস-এর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস ১১৮টি আসনে প্রার্থী দিয়ে ১টি আসন ছেড়ে দিয়েছে সহযোগী ভারতের কমিউনিস্ট পার্টিকে (সিপিআই)।
অভিনেতা পবন কল্যাণের দল জন সেনা জোট বেঁধেছে বিজেপির সঙ্গে। বিজেপি প্রার্থী দিয়েছে ১১১টি আসনে, বাকি ৮টি আসন ছেড়ে দিয়েছে জন সেনাকে।
উগ্র বামেদের প্রভাব আছে এমন জায়গাগুলিতে ভোটগ্রহণ পর্ব চলবে বিকেল ৪টে পর্যন্ত। আর বাদবাকি সব কেন্দ্রে ভোট নেওয়া হবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
ফল প্রকাশ ৩ ডিসেম্বর
চলতি নভেম্বরে পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হল। এই নির্বাচনপর্বের শেষ রাজ্যটি হল তেলঙ্গানা, যেখানে ভোটগ্রহণপর্ব চলছে আজ, ৩০ নভেম্বর। এর আগে নভেম্বরের ৭ তারিখ থেকে নভেম্বরের ২৫ তারিখের মধ্যে ভোট নেওয়া হয়েছে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ় এবং মিজোরামে। পাঁচটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ভোটের ফল প্রকাশিত হবে ৩ ডিসেম্বর।