নয়াদিল্লি: ভারতীয় বায়ুসেনা এই বছরের জুলাইয়ের মধ্যে দেশের প্রথম এলসিএ মার্ক ১এ যুদ্ধবিমান পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর আগে ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে ভারতীয় বায়ুসেনার কাছে এই বিমানটি হস্তান্তরের আশা করা হয়েছিল, কিন্তু প্রযুক্তিগত কারণে এটি কিছুটা বিলম্বিত হয়ে যায়।
জুলাইয়ের মধ্যে হস্তান্তরের আশা
ভারতীয় বায়ুসেনা এবং পাবলিক সেক্টর কোম্পানি হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (HAL) সম্প্রতি এলসিএ ফাইটার প্রকল্প পর্যালোচনা করেছ। এক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার জানান, এটি এখন এই বছরের জুলাইয়ের মধ্যে বিমান বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সামরিক ক্ষেত্রে স্বনির্ভরতা
ওই প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা আরও জানান, গত মাসে ফাইটার এয়ারক্রাফটের প্রথম ফ্লাইট চালিয়েছে হ্যাল। বিমান বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করার আগে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আরও কয়েকটি ইন্টিগ্রেশন পরীক্ষা সম্পন্ন করা হবে। বিমান বাহিনীতে দেশীয় ফাইটার এয়ারক্রাফ্টের অন্তর্ভুক্তি সামরিক ক্ষেত্রে স্বনির্ভরতা গড়ে তোলার জন্য একটি বড় পদক্ষেপ।
আরও অর্ডারের আশা
এলসিএ মার্ক ১এ প্রকল্পটি নিয়ে চর্চা চলছে অনেক দিন ধরেই। ইতিমধ্যে ৮৩টি যুদ্ধবিমানের জন্য ৪৮ হাজার কোটি টাকার একটি অর্ডার দেওয়া হয়েছে। শোনা যাচ্ছে, এই আর্থিক বছরের শেষ নাগাদ ৯৭টি যুদ্ধবিমানের জন্য ৬৫ হাজার কোটি টাকার আরেকটি অর্ডার দেওয়া হতে পারে। সমারিক সরঞ্জাম কেনার জন্য এটাই হতে চলেছে সবচেয়ে বৃহৎ অর্ডার।
এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য কী?
সম্প্রতি, সরকারি আধিকারিকরা জানিয়েছিলেন যে এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য হল ভারতীয় বায়ুসেনার মিগ-২১, মিগ-২৩ এবং মিগ-২৭-এর মতো যুদ্ধবিমানকে প্রতিস্থাপন করা। এই পরিকল্পনা পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়িত করার লক্ষ্য নিয়েই এগোচ্ছে কেন্দ্র। প্রতিরক্ষামন্ত্রক এবং বায়ুসেনার এই মিলিত উদ্যোগে, দেশীয় যুদ্ধবিমান কর্মসূচি উল্লেখযোগ্য ভাবে স্বদেশীকরণের প্রচেষ্টাকে বাড়িয়ে তুলবে এবং সারা দেশে প্রতিরক্ষা খাতে নিযুক্ত ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগগুলির জন্য যথেষ্ট ব্যবসার সুযোগ নিয়ে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পডুন: ‘দেশের নিরাপত্তাকে উপেক্ষা করা যায় না’, ভারত-চিন সীমান্ত বিরোধ নিয়ে প্রতিক্রিয়া বিদেশমন্ত্রীর