নয়াদিল্লি: বেলজিয়ামের আদালতে বড়োসড়ো ধাক্কা খেলেন পলাতক হিরে ব্যবসায়ী মেহুল চোকসি। আদালত জানিয়েছে, চোকসিকে ভারতে প্রত্যর্পণের ক্ষেত্রে কোনো আইনি বাধা নেই এবং তার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো যথেষ্ট গুরুতর, যা প্রত্যর্পণকে ন্যায্যতা দেয়।
পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক (PNB) প্রতারণা মামলায় অভিযুক্ত চোকসি (৬৬) ২০১৮ সালের ২ জানুয়ারি ভারত থেকে পালিয়ে যান। তিনি সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (CBI) এবং এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট-এর (ED) তালিকায় অভিযুক্ত। অভিযোগ, তিনি পিএনবি ব্যাংককে প্রায় ১৩,৮৫০ কোটি টাকার প্রতারণা করেছেন।
২০১৮ সালেই চোকসি ইন্টারপোলের মাধ্যমে সিবিআইয়ের ভারতের অনুরোধে জারি হওয়া ‘রেড কর্নার নোটিশ’-এর বিরোধিতা করেছিলেন। তাঁর দাবি ছিল, ভারতের কারাগারগুলোর যা অবস্থা তাতে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয় এবং সেগুলো বসবাসযোগ্য নয়।
তবে মঙ্গলবার বেলজিয়ামের আদালতে ভারতের পক্ষ থেকে মুম্বইয়ের আর্থার রোড জেলের বিস্তারিত নকশা ও অভ্যন্তরীণ চিত্র পেশ করা হয়। আদালতকে জানানো হয় যে, চোকসিকে সাধারণ বন্দিশিবিরে নয়, বরং নিরাপদ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, পর্যবেক্ষণাধীন একটি আলাদা সেলে রাখা হবে।
সব দিক বিবেচনা করে বেলজিয়াম আদালত গত শুক্রবারই চোকসির ভারতে প্রত্যর্পণ অনুমোদন করে। তবে মেহুল ইচ্ছা করলে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বেলজিয়াম সুপ্রিম কোর্টে এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন।
এই রায়ের ফলে ভারতে চোকসির প্রত্যাবর্তনের পথ অনেকটাই প্রশস্ত হল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
আরও পড়ুন: কেরলে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হেলিকপ্টার অবতরণে বিপত্তি, ধসে পড়ল হেলিপ্যাডের অংশ