Homeখবরদেশকিছু রাজনৈতিক দল আপত্তিই জানায়নি, ভোটের তালিকায় ‘ভুলভ্রান্তি’ প্রসঙ্গে বলল নির্বাচন কমিশন

কিছু রাজনৈতিক দল আপত্তিই জানায়নি, ভোটের তালিকায় ‘ভুলভ্রান্তি’ প্রসঙ্গে বলল নির্বাচন কমিশন

বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে উঠেছে কড়া অভিযোগ। কমিশন জানাল, সব স্তরে রাজনৈতিক দলগুলিকে খসড়া তালিকা দেওয়া হয়েছিল, সময়মতো আপত্তি তোলা হয়নি।

প্রকাশিত

বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, বিশেষ সংশোধন প্রক্রিয়ায় (Special Intensive Revision) কোটি কোটি ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়তে পারেন কেবল নথিপত্রের অভাবে। এর মাঝেই নির্বাচন কমিশন (EC) শনিবার স্পষ্ট জানিয়ে দিল, রাজনৈতিক দলগুলিই সময়মতো আপত্তি তুলতে ব্যর্থ হয়েছে।

কমিশনের দাবি, খসড়া ভোটার তালিকা শারীরিক ও ডিজিটাল কপি আকারে রাজনৈতিক দলগুলির হাতে তুলে দেওয়া হয় এবং ইসির ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়। এক মাস সময় দেওয়া হয় দাবি-আপত্তি জানানোর জন্য। চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পরেও থাকে দুই স্তরের আপিলের সুযোগ।

বিহারে চলতি বিশেষ সংশোধন প্রক্রিয়ায় ৬৫ লক্ষ ভোটারকে বাদ দেওয়ার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট ইতিমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছে, বাদ পড়া নামগুলির তালিকা অনলাইনে প্রকাশ করতে হবে।

শনিবার কমিশনের বিবৃতিতে অভিযোগ তোলা হয়েছে, “কিছু রাজনৈতিক দল এবং তাদের বুথ লেভেল এজেন্টরা (BLA) সঠিক সময়ে তালিকা খতিয়ে দেখেননি এবং ত্রুটির কথা জানাননি। সঠিক সময়ে ও সঠিক চ্যানেলে আপত্তি তোলা হয়নি।”

এদিকে, বিরোধী কংগ্রেস সরাসরি নির্বাচন কমিশনকে নিশানা করছে। দলের নেতা রাহুল গান্ধী সম্প্রতি অভিযোগ করেছেন, ভোট চুরির মাধ্যমে বিজেপির পক্ষে ফলাফল সাজানো হয়েছে। গত ৭ আগস্ট তিনি বলেন, “নির্বাচন আসলে সাজানো নাটক। বিজেপি ও ইসির আঁতাতের জেরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফিরেছেন।”

কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয়েছে, কর্নাটকের মহাদেবপুরা বিধানসভা কেন্দ্রে এক লক্ষেরও বেশি ভোট ‘চুরি’ হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে কমিশন রাহুলকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেছে, তিনি যেন স্পষ্ট নাম-তালিকা ও স্বাক্ষরিত ঘোষণা জমা দেন। নচেৎ অভিযোগ প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাইতে হবে।

এদিকে, রাহুল গান্ধী ১৭ আগস্ট বিহারের সাসারাম থেকে শুরু করেছেন ‘ভোট অধিকার যাত্রা’। আগামী ১ সেপ্টেম্বর পাটনায় যাত্রা শেষ হবে। এই কর্মসূচি ২০টিরও বেশি জেলা পেরিয়ে ১,৩০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করবে ১৬ দিনে।

আরও যে খবর পড়তে পারেন:

১ অক্টোবর থেকে বড় পরিবর্তন! UPI-তে বন্ধ হচ্ছে এই অপশন

📰 আমাদের পাশে থাকুন

নিরপেক্ষ ও সাহসী সাংবাদিকতা টিকিয়ে রাখতে খবর অনলাইন আপনার সহায়তা প্রয়োজন। আপনার ছোট্ট অনুদান আমাদের সত্য প্রকাশের পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।

💠 সহায়তা করুন / Support Us
SourceNDTV

আপনার প্রশ্ন, আমাদের উত্তর

সাম্প্রতিকতম

বাংলা-সহ ১২ রাজ্যে ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে শুরু হচ্ছে এসআইআর, ভোটার তালিকা সংশোধন শুরু ৪ নভেম্বর থেকে

দেশের ১২ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে শুরু হচ্ছে দ্বিতীয় দফার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR)। বাংলায় এনুমেরেশন ফর্ম বিতরণ শুরু হবে ৪ নভেম্বর থেকে, চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে ৭ ফেব্রুয়ারি।

১০০ দিনের কাজ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেল কেন্দ্র, বহাল হাই কোর্টের নির্দেশ

১০০ দিনের কাজ বন্ধ রাখায় কেন্দ্রকে তীব্র ধাক্কা। সুপ্রিম কোর্ট হাই কোর্টের নির্দেশ বহাল রাখল। ফলে চার বছর পর রাজ্যে ফের শুরু হবে ১০০ দিনের কাজ, মজুরি মঞ্জুর করতে হবে কেন্দ্রকে।

এসআইআরের আগে রাজ্যে বড়সড় প্রশাসনিক রদবদল, বদলি ১০ জেলাশাসক-সহ ১৭ আমলা

এসআইআর শুরুর আগেই রাজ্যে প্রশাসনিক রদবদল। বদলি ১০ জেলাশাসক ও একাধিক এডিএম। নবান্নের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সংবেদনশীল জেলাগুলিতে বিশেষ নজর। বিধানসভা ভোটের আগে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা।

বুথভিত্তিক তুলনায় মিল মাত্র ৫৫%! এসআইআরে নাম কাটা যেতে পারে প্রায় ১ কোটি ভোটারের

২০০২ সালের ভোটার তালিকার সঙ্গে বর্তমান তালিকার মিল মাত্র ৫৫ শতাংশ। এসআইআরের পর প্রায় ১ কোটি ভোটারের নাম বাদ পড়তে পারে বলে আশঙ্কা নির্বাচন কমিশনের। জল্পনা ছড়িয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

আরও পড়ুন

বাংলা-সহ ১২ রাজ্যে ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে শুরু হচ্ছে এসআইআর, ভোটার তালিকা সংশোধন শুরু ৪ নভেম্বর থেকে

দেশের ১২ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে শুরু হচ্ছে দ্বিতীয় দফার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR)। বাংলায় এনুমেরেশন ফর্ম বিতরণ শুরু হবে ৪ নভেম্বর থেকে, চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে ৭ ফেব্রুয়ারি।

১০০ দিনের কাজ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেল কেন্দ্র, বহাল হাই কোর্টের নির্দেশ

১০০ দিনের কাজ বন্ধ রাখায় কেন্দ্রকে তীব্র ধাক্কা। সুপ্রিম কোর্ট হাই কোর্টের নির্দেশ বহাল রাখল। ফলে চার বছর পর রাজ্যে ফের শুরু হবে ১০০ দিনের কাজ, মজুরি মঞ্জুর করতে হবে কেন্দ্রকে।

নেলি হত্যাকাণ্ডের রিপোর্ট প্রকাশের সিদ্ধান্তে বিতর্ক: চার দশক পর নতুন করে উদ্বেগ ও আশঙ্কা

অরূপ চক্রবর্তী, গুয়াহাটি: অসম সরকার ১৯৮৩ সালের ভয়াবহ নেলি গণহত্যার তিওয়ারি কমিশনের রিপোর্ট প্রকাশের...