তিনি শারীরিক দিক থেকে বিশেষভাবে সক্ষম। চোখের বিরল অসুখে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ৩৫ বছর বয়সে চিরকালের মতো দৃষ্টিশক্তি হারান বেঙ্গালুরুর ভূমিকা। কিন্তু শারীরিক শত অসুবিধা সত্ত্বেও মানসিকভাবে দমে যাননি। চিরকালই রান্না করতে ভালোবাসতেন ভূমিকা। চোখের অসুখে আক্রান্ত হয়ে চিরকালের মতো দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে এক লহমায় জীবন তাঁর জীবন বদলে যায়। জীবনের এই কঠিন অধ্যায় পার করতে নিজের প্যাশন ‘রন্ধনশৈলী’কেই অবলম্বন করে এগিয়ে চলেন ভূমিকা।
অপটিক্যাল নিউরোটিস নামক বিরল চোখের অসুখে আক্রান্ত হন ভূমিকা। ৫ লাখ মানুষের মধ্যে মাত্র একজনের এই বিরল অসুখ হয়। মাত্র ৩৫ বছর বয়সে ভূমিকার জীবনে একদিন অন্ধকার নেমে আসে। আচমকাই দৃষ্টিশক্তি হারান। অসুস্থতার কারণে তীব্র মানসিক অবসাদে ডুবে যান ভূমিকা। জীবনটাই এক লহমায় তাঁর বেরঙিন হয়ে যায়। দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলে সবকিছু তাঁকে নতুন করে শিখতে হয়।
চরম অন্ধকারের মধ্যে আশার ক্ষীণ আলো ছিল একটাই – রান্নার প্রতি তাঁর প্যাশন। ভূমিকার মধ্যে তাঁর সেই প্যাশনকেই জাগিয়ে তোলেন তাঁর স্বামী সুদর্শন। তিনিই ভূমিকাকে নতুন কাজে উৎসাহ দেন। ভূমিকা নিজের কঠিন লড়াইয়ে সবসময় পাশে পেয়েছেন তাঁর জীবনসঙ্গী সুদর্শনকে। ভূমিকার ইউটিউবের জন্য রান্নার সব ভিডিও শ্যুট করা ও এডিট করার দায়িত্ব সুদর্শনের।
ভূমিকা ইউটিউবে নিজের রান্নার চ্যানেল খোলেন। অল্প উপাদান ব্যবহার করে অভিনব রেসিপি রান্না করার জন্য ভূমিকার রান্নার ভিডিও অল্প দিনের মধ্যেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ইউটিউবে। এখন প্রচুর দর্শক ভূমিকার ইউটিউব চ্যানেলের। প্রচুর দর্শক। তাঁর ইউটিউব চ্যানেলের ফলোয়ারের সংখ্যা ৮০ হাজারের বেশি। এখন ইউটিউবের ‘কুকিং স্টার’ হয়ে উঠেছেন ভূমিকা।