কলকাতা : মোবাইলের দৌলতে সবকিছুই হয়ে গিয়েছে হাতের মুঠোয়। দেশ বিদেশের নানান খবর এক ক্লিকেই জেনে নিতে পারেন সাধারণ মানুষ। ঘর সাজানোর সামগ্রী থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে সাধারণ মানুষ ভরসা রাখছেন ইন্টারনেটের দুয়ারে। এমনকি ওষুধ কিনতেও বিভিন্ন অনলাইন সাইটে ভরসা রাখছেন সাধারণ মানুষ। দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে মেডিকেল অ্যাপগুলি সংখ্যা। কিন্তু আপনি কি জানেন এমন অনেক অনলাইন সংস্থা আছে যাদের ওষুধ বিক্রি করার লাইসেন্সই নেই।
২০১৮ সালে এই ঘটনাকে নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে সতর্ক করেছিল দিল্লি আদালত। এবার এই বিষয়ে নড়েচড়ে বসলো কেন্দ্রীয় সরকার। জানা যাচ্ছে, সম্প্রতি অনলাইনে ওষুধ বিক্রির ক্ষেত্রে একাধিক অনিয়ম কেন্দ্রের নজরে আসে। সেন্ট্রাল ড্রাগ সেন্ডার্স কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের নজরে আসে দু ধরনের অনিয়ম।
অভিযোগ, চিকিৎসকদের প্রেসক্রিপশন ছাড়াই অনলাইন সংস্থাগুলি বিক্রি করছে ওষুধ। এমনকি অনলাইন কনসালটেন্সের নামে ওষুধ বিক্রির অভিযোগও জমা পড়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে। আর তারপরেই নড়েচড়ে বসল সরকার।
জানা যাচ্ছে, দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে লাগাতার একাধিক অভিযোগ এসেছে। এমনকি এই অনলাইন অ্যাপ-এর মাধ্যমে যুব সমাজের কাছে খুব সহজেই পৌঁছে যাচ্ছে নেশার সামগ্রী। বিভিন্ন রাজ্যের হাইকোর্টে জমা পড়েছে একাধিক অভিযোগ। এরপরেই নয়া বিজ্ঞপ্তি জারি করল কেন্দ্র সরকার।
ইতিমধ্যে অনিয়মের ঘটনায় দেশের বেশ কয়েকটি নামজাদা সংস্থাকে নোটিস ধরিয়েছে সেন্ট্রাল ড্রাগ স্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন। শো-কজ করা হয়েছে কুড়ি টিরও বেশি সংস্থাকে। তাঁদের জবাব সন্তোষজনক না হলে পড়তে হতে পারে বড় জরিমানার মুখে।