রাজ্যসভার কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক মনু সিংভির আসনে নগদ টাকা পাওয়ার ঘটনায় শুক্রবার জোর চাঞ্চল্য। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় জানান, বৃহস্পতিবার অধিবেশন মুলতুবির পর সুরক্ষা কর্মীরা সিংভির আসন থেকে নগদ টাকা উদ্ধার করেন।
শুক্রবার সকাল ১১ টা ১৩ মিনিটে রাজ্যসভায় বিষয়টি জানান চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়। চেয়ারম্যান বলেন, নিয়মমাফিক তল্লাশি শেষে ২২২ নম্বর আসন থেকে ৫০০ টাকার নোটের বান্ডিল উদ্ধার হয়েছে। তাই আইনি পদ্ধতিতে গোটা ঘটনার তদন্ত হবে। এই আসনটি আপাতত তেলঙ্গনা থেকে নির্বাচিত সদস্য সিংঘভিকে বরাদ্দ করা আছে। সেই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন সিংভি নিজেও।
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এই বিষয়ে কোনও আপত্তি না জানালেও তদন্ত চলাকালীন সাংসদের নাম উল্লেখ করায় চেয়ারম্যানের সমালোচনা করেন তিনি। খাড়গে বলেন, “যতক্ষণ না তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ হচ্ছে এবং ওই ঘটনার সত্যতা নির্ধারিত হচ্ছে, ততক্ষণ কোনও সদস্যের নাম করা উচিত নয়”।
অভিষেক মনু সিংভি বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, নিজের জীবনে এ ধরনের ঘটনা প্রথম শুনছেন। তিনি বলেন, তিনি রাজ্যসভায় যাওয়ার সময় মাত্র ৫০০ সঙ্গে রাখেন। সিংভি আরও বলেন, গতকাল তিনি মাত্র তিন মিনিট রাজ্যসভায় ছিলেন এবং পরে ক্যান্টিনে গিয়ে আধ ঘণ্টা কাটিয়েছেন। তিনি এই ঘটনাকে সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও অস্বাভাবিক বলে মন্তব্য করেন। তাঁর কথায়, “রাজ্যসভা অধিবেশনে গেলে আমি নিজের সঙ্গে ৫০০ টাকার একটি নোট রাখি। বৃহস্পতিবার আমি বেলা ১২টা ৫৭ মিনিটে সংসদে পৌঁছই। ১টা থেকে অধিবেশন শুরু হয়। দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ক্যান্টিনে বসেছিলাম। তার পর ফিরে আসি”।
এই ঘটনায় রাজ্যসভায় শাসক ও বিরোধী পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডা এই ঘটনাকে রাজ্যসভার মর্যাদার জন্য অপমানজনক বলেছেন। বিজেপি সাংসদ সুধাংশু ত্রিবেদী দাবি করেন, চেয়ারম্যান অপেক্ষা করেছিলেন কেউ যদি টাকা দাবি করেন। যখন কেউ দাবি করেনি, তখন বিষয়টি সভায় তোলা হয়।