চেন্নাইয়ের এক সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসককে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য। বুধবার সকালে চেন্নাইয়ের কালাইগনার শতবার্ষিকী হাসপাতালে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। এক ক্যানসার রোগীর ছেলের বিরুদ্ধে এই বর্বরোচিত হামলার অভিযোগ।
হামলাকারীর অভিযোগ, চিকিৎসক তাঁর মায়ের জন্য ভুল ওষুধ লিখে দিয়েছিলেন। ফলে ক্ষিপ্ত হয়ে, তিনি ওপিডি-তে (আউটপেশেন্ট ডিপার্টমেন্ট) চিকিৎসককে সাতবার ছুরিকাঘাত করেন। আক্রান্ত চিকিৎসক একজন অনকোলজিস্ট এবং তিনি নিজেও হৃদরোগী। তাঁর বুকে পেসমেকার রয়েছে। বর্তমানে তাঁকে আইসিইউ-তে রাখা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, আহত চিকিৎসকের শারীরিক অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল।
তামিলনাড়ুর স্বাস্থ্যমন্ত্রী মা সুব্রহ্মণ্যম জানিয়েছেন, চিকিৎসক মাথায়, বুকে ও পেটে আঘাত পেয়েছেন এবং তাঁর পিঠেও ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
ঘটনার পরপরই ২৬ বছর বয়সি অভিযুক্ত পালানোর চেষ্টা করেন। তবে পুলিশ তাঁকে দ্রুত গ্রেফতার করে। হামলাকারী ছোট একটি ছুরি ব্যবহার করেছিলেন। ওই ছুরি তিনি লুকিয়ে এনেছিলেন। এ প্রসঙ্গে নিরাপত্তা ব্যবস্থার কোনো ত্রুটি ছিল না বলে দাবি করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এ ঘটনায় তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্টালিন উদ্বেগ প্রকাশ করে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দেন এবং বলেন, “‘চিকিৎসকেরা যে পরিষেবা দেন, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাঁদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব।”
ঘটনার পর চিকিৎসকরা প্রতিবাদ শুরু করেছেন এবং হাসপাতালের জরুরি চিকিৎসা ছাড়া বাকি সমস্ত পরিষেবা সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।