দেশের পরবর্তী তথা ১৫তম উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলেন এনডিএ প্রার্থী সি পি রাধাকৃষ্ণণ। মঙ্গলবার ভোটগ্রহণ শেষে ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার পি সি মোধি। এনডিএ প্রার্থী রাধাকৃষ্ণণ পান ৪৫২ ভোট, অন্যদিকে বিরোধী জোট ইন্ডিয়া ব্লকের প্রার্থী ও প্রাক্তন সুপ্রিম কোর্ট বিচারপতি বি সুদর্শন রেড্ডি পান ৩০০ ভোট। মোট ৭৬৭ সাংসদ ভোট দেন, যা ছিল ৯৮.২ শতাংশ উপস্থিতি। এর মধ্যে বৈধ ভোট ছিল ৭৫২, আর ১৫টি ভোট বাতিল ঘোষণা করা হয়। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় ভোট ছিল ৩৭৭।
৬৭ বছর বয়সি সি পি রাধাকৃষ্ণণ বর্তমানে মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল পদে ছিলেন। এবার দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে তিনি নির্বাচিত হলেন। তিনি তামিলনাড়ুর তৃতীয় নেতা, যিনি উপরাষ্ট্রপতির আসনে বসলেন।
রাধাকৃষ্ণণ একজন ওবিসি নেতা, গাউনদার-কোঙ্গু ভেল্লালার সম্প্রদায় থেকে উঠে আসা। বিজেপির দীর্ঘদিনের সক্রিয় সংগঠক তিনি। দু’বার লোকসভায় কোয়েম্বাটুর কেন্দ্র থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। অটলবিহারী বাজপেয়ীর আমলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হলেও নামের বিভ্রান্তির কারণে তা আর সম্ভব হয়নি।
রাজনৈতিক জীবনের শুরুতে আরএসএস-এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন রাধাকৃষ্ণণ। সেখান থেকে ধাপে ধাপে সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে উন্নীত হয়ে পরবর্তীতে বিজেপির একজন গ্রহণযোগ্য নেতা হয়ে ওঠেন। তাঁর রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা এবং সংগঠক হিসেবে দক্ষতাকেই এনডিএ এবার উপরাষ্ট্রপতি প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে কাজে লাগিয়েছে।
অন্যদিকে বিরোধী প্রার্থী বি সুদর্শন রেড্ডি দক্ষিণ ভারতেরই আরেকজন পরিচিত মুখ। তবে সংখ্যার অঙ্কে এনডিএ শিবির যে অনেকটাই এগিয়ে ছিল, ভোটফলাফলেও তা স্পষ্ট হয়ে গেল।
প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতির শুভেচ্ছা বার্তা
প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় মঙ্গলবার তাঁর উত্তরসূরি সি পি রাধাকৃষ্ণণকে শুভেচ্ছা জানালেন। ধনখড়ের বক্তব্য, রাধাকৃষ্ণণের বিস্তৃত অভিজ্ঞতার জেরে উপরাষ্ট্রপতির পদ আরও গৌরবমণ্ডিত হবে।
এটাই জুলাই মাসে দায়িত্ব ছাড়ার পর ধনখড়ের প্রথম প্রকাশ্য প্রতিক্রিয়া।