কলকাতা: আগামী শনিবার (৬ মে) নাগাদ দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে পারে একটি ঘূর্ণাবর্ত। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এর প্রভাবে অঞ্চলে একটি নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরি হতে পারে। এমনটাই জানিয়েছে জাতীয় আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি)। তবে ঘূর্ণিঝড় যে তৈরি হবেই, তেমন কোনো নিশ্চয়তাও এখনও মেলেনি। আবহাওয়াবিদদের মতে, এর সঠিক আচরণ অনুমানে আরও ক’দিন সময় লাগবে।
ইতিমধ্যে, মার্কিন আবহাওয়ার পূর্বাভাস মডেল গ্লোবাল ফোরকাস্ট সিস্টেম (GFS) এবং ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর মিডিয়াম-রেঞ্জ ওয়েদার ফোরকাস্টস (ECMWF) বঙ্গোপসাগরের উপর একটি ঘূর্ণিঝড়ের গঠনের পূর্বাভাস দিয়েছে। সেটি অনুসরণ করেই আইএমডি-র এই পূর্বাভাস। মৌসম ভবনের ডিরেক্টর জেনারেল মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র বলেছেন, “কিছু মডেল পরামর্শ দিচ্ছে যে এটি একটি ঘূর্ণিঝড় হবে। আমরা নজর রাখছি। নিয়মিত আপডেট দেওয়া হবে”।
একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে, ৫ থেকে ১১ মে-র মধ্যে বঙ্গোপসাগরে যে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হবে। পরে নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে এবং সেটি শক্তি বৃদ্ধি করে যে গভীর নিম্নচাপের চেহারা নিতে পারে। কিংবা ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার পরে সেটি কোথায় আছড়ে পড়বে, তা এখনই বলা সম্ভব নয়।
আবহাওয়াবিদরাও বলছেন, এমনিতে এপ্রিল মাসে ভারতীয় সমুদ্রে কোনো ঘূর্ণিঝড় দেখা যায়নি। এ ছাড়া চলতি বছরের মে মাসের প্রথমার্ধে কোনো গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড় আসার সম্ভাবনা খুবই কম। এখন বঙ্গোপসাগরের পরিস্থিতির দিকে নজর রাখাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ঘূর্ণিঝড় যদিও বা তৈরি হয়, সেটার সম্ভাব্য গতিমুখ হতে পারে তিনটি- ওড়িশা, মায়ানমার এবং পশ্চিমবঙ্গ। তবে, কোনো কিছুই এখনও নিশ্চিত নয়।
আবহাওয়াবিদদের মতে, ঘূর্ণিঝড়ের বিষয়টি যদি আনুষ্ঠানিক ভাবে নিশ্চিত করা হয়, তা হলে ডব্লিউএমও/ইএসসিএপি সদস্য দেশগুলির নামকরণ পদ্ধতি অনুসরণ করে সেটির নাম হতে পারে ঘূর্ণিঝড় মোচা (Cyclone Mocha)। ইয়েমন এই নামটি প্রস্তাব করেছিল।
আরও পড়ুন: পিএফে বর্ধিত পেনশনের জন্য আবেদনের সময়সীমা বাড়ল, ২৬ জুন পর্যন্ত মিলবে সুবিধা