Home খবর দেশ দিল্লি বিস্ফোরণে খালিস্তানি যোগ! দাবি পাকিস্তানি টেলিগ্রাম চ্যানেলে, নিশ্চিত নন তদন্তকারীরা

দিল্লি বিস্ফোরণে খালিস্তানি যোগ! দাবি পাকিস্তানি টেলিগ্রাম চ্যানেলে, নিশ্চিত নন তদন্তকারীরা

0

রবিবার সকালে (২০ অক্টোবর) দিল্লির প্রশান্ত বিহার এলাকায় ঘটে যাওয়া বিস্ফোরণ ঘিরে নতুন করে খালিস্তানি যোগসূত্রের প্রমাণ উঠে এসেছে। পাকিস্তানের মাধ্যমে পরিচালিত কয়েকটি টেলিগ্রাম চ্যানেল দাবি করেছে যে, খালিস্তানি কর্মীরা এই বিস্ফোরণের জন্য দায়ী। জাস্টিস লিগ ইন্ডিয়া (JLI) নামে একটি টেলিগ্রাম চ্যানেল ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ শেয়ার করে প্রথম এই দাবি প্রকাশ করে। ভিডিওটির সঙ্গেই দাবি করা হয়, খালিস্তানি কর্মীরা ভারতে যেকোনও সময় আঘাত হানতে সক্ষম।

এই ভিডিওটি JLI গ্রুপে পোস্ট হওয়ার পর পরই, পাকিস্তান থেকে পরিচালিত একাধিক টেলিগ্রাম চ্যানেলে তা প্রচারিত হয়। বিশেষভাবে, এই চ্যানেলগুলি সাধারণত কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ সম্পর্কে তথ্য প্রচার করে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এই দাবির পিছনে থাকতে পারে এবং তারা খালিস্তান প্রসঙ্গকে সামনে রেখে ভারতের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসবাদকে উস্কে দিতে চাইছে।

তবে এই দাবিগুলির সত্যতা এখনই নিশ্চিত করা যাচ্ছে না এবং কর্তৃপক্ষ বিস্ফোরণটি খতিয়ে দেখার কাজ চালাচ্ছে। কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি জানিয়েছে, বিস্ফোরণস্থলে অপেক্ষাকৃত কম শক্তির বিস্ফোরকের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে একটি সাদা গুঁড়ো পদার্থ পাওয়া গেছে, যা ঘরোয়া বোমা তৈরিতে ব্যবহৃত হতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

ধারণা করা হচ্ছে, এই গুঁড়ো পদার্থটি অ্যামোনিয়াম ফসফেট এবং অন্যান্য রাসায়নিকের মিশ্রণ। তবে ফরেনসিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে এর সঠিক উপাদানগুলি নিশ্চিত করা হবে। এছাড়াও, ঘটনাস্থলে তার এবং ব্যাটারির উপস্থিতি পাওয়া গেছে, তবে সেগুলি বিস্ফোরণের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত কি না, তা এখনও নিশ্চিত করা যায়নি।

দিল্লি পুলিশ তদন্ত করছে বিস্ফোরণটি ইচ্ছাকৃতভাবে ঘটানো হয়েছে কি না এবং এর মাধ্যমে কী বার্তা দেওয়া হয়েছে। পুলিশের সূত্রে জানা গেছে, বিস্ফোরণটি হয়তো কোনও বার্তা দেওয়ার জন্যই ঘটানো হয়েছিল, কারণ সন্দেহভাজন ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে একটি স্কুলের দেওয়াল লক্ষ্য করে সকালবেলায় ঘঠায়, যাতে হতাহতের সংখ্যা কম থাকে। “বিস্ফোরণের ধরন এবং সময় নির্বাচন দেখে মনে হচ্ছে এর উদ্দেশ্য ছিল সতর্কবার্তা দেওয়া, বড় ক্ষয়ক্ষতি ঘটানো নয়,” জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version