খবর অনলাইন ডেস্ক: দিল্লির লালকেল্লার কাছে গাড়ি বিস্ফোরণকে আত্মঘাতী হামলা বলে নিশ্চিত করল জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ)। ওই বিস্ফোরণে ১৩ জনের মৃত্যুর এক সপ্তাহ পর এনআইএ জানাল, গাড়িচালক উমর উল নবি একজন আত্মঘাতী বোমারু ছিলেন। রবিবার এনআইএ জানায়, নবি, যিনি পেশায় একজন চিকিৎসক, নিজেকে বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেন। তদন্তে উঠে এসেছে, কাশ্মীরের সাম্বুরা, পামপোরের বাসিন্দা আমির রাশিদ আলি এই হামলার ষড়যন্ত্রে নবির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁকে দিল্লি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনিই ওই গাড়ির মালিক।
এটি ভারতের রাজধানীতে প্রথম গাড়িবাহিত আত্মঘাতী হামলা এবং ২০১৯ সালের পুলওয়ামা ঘটনার পর দেশের দ্বিতীয় এমন হামলা। পুলওয়ামায় এক আত্মঘাতী হামলাকারী বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি নিয়ে সিআরপিএফ-এর কনভয়ে আঘাত হেনে ৪০ জন জওয়ানকে হত্যা করেছিলেন।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, ১০ নভেম্বরের বিস্ফোরণটি পরিকল্পনার তুলনায় কম ক্ষতি করেছে, কারণ সন্দেহভাজন হামলাকারী তাড়াহুড়া করে কাজটি করেছিলেন। পুলিশি অভিযানে তাঁর দুই সহযোগী গ্রেফতার হওয়ায় তিনি চাপের মুখে ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এনআইএ জানায়, হামলায় ব্যবহৃত গাড়িটি আমির রাশিদ আলির নামে নিবন্ধিত ছিল এবং তিনি দিল্লিতে এসে গাড়ি কেনার কাজে ড. নবিকে সহায়তা করেন। সেই গাড়িটিই পরে আইইডি-তে রূপান্তর করা হয়।
তদন্তকারীরা ফরেনসিক পরীক্ষা করে মৃত চালকের পরিচয় নিশ্চিত করেন। পুলওয়ামার বাসিন্দা ড. নবি আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ে (ফরিদাবাদ, হরিয়ানা) জেনারেল মেডিসিন বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
এনআইএ আরও জানায়, নবির আরেকটি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে এবং সেটিও প্রমাণ সংগ্রহের জন্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৭৩ জন সাক্ষীর বয়ান গ্রহণ করা হয়েছে, যার মধ্যে বিস্ফোরণে আহত ব্যক্তিরাও রয়েছেন।
দিল্লি, জম্মু ও কাশ্মীর, হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশ–সহ একাধিক রাজ্যের পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সহযোগিতায় এনআইএ ব্যাপক তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। সংস্থা বলেছে, হামলার পেছনে বৃহত্তর জাল বা নেটওয়ার্ক খুঁজে বের করতে এবং জড়িত অন্যদের শনাক্ত করতে বিভিন্ন সূত্র অনুসরণ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন


