নিউ দিল্লি রেল স্টেশনে পদপিষ্টের ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করল ভারতীয় রেল। এছাড়া গুরুতর আহতদের জন্য ২.৫ লাখ টাকা এবং সামান্য আহতদের জন্য ১ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
শনিবার দুপুর থেকেই প্রয়াগরাজের ট্রেনের জন্য নিউ দিল্লি স্টেশনে চাহিদা ছিল প্রচুর। একটি রিপোর্টে দাবি, রাতে চাহিদা এত বেড়ে গিয়েছিল যে, প্রতি ঘণ্টায় ১৫০০ করে জেনারেল টিকিট বিক্রি করা হচ্ছিল।
শনিবার রাত ৯টা নাগাদ নিউ দিল্লি রেলওয়ে স্টেশনের ১৪ ও ১৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ট্রেন আসতেই যাত্রীরা হুড়োহুড়ি শুরু করেন। অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে ওভারব্রিজ ও ১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মের চলন্ত সিঁড়ির কাছে ধাক্কাধাক্কির জেরে অনেকে মাটিতে পড়ে যান। এর জেরেই পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় কয়েকজনের।
প্রথমে দুর্ঘটনার কথা স্বীকার না করা হলেও পরে এলএনজেপি হাসপাতালের তরফে নিশ্চিত করা হয় যে পদপিষ্ট হয়ে কমপক্ষে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, পরে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১৮-তে।
সূত্রের খবর, দুর্ঘটনার সময় স্টেশনে আরপিএফের উপস্থিতি ছিল না। গুজব ছড়ায় যে দুটি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে, ফলে যাত্রীরা একসঙ্গে ১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ভিড় জমাতে শুরু করেন। পরে ১৫ ও ১৬ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ট্রেন আসার ঘোষণার পর ফের ছুটোছুটি শুরু হয়, আর তখনই ঘটে বিপর্যয়।
রেলওয়ে পুলিশের ডেপুটি কমিশনার কেপিএস মালহোত্রা জানিয়েছেন, “প্রয়াগরাজ এক্সপ্রেস ১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে ছিল, সেই সময় ভিড় ছিল তুঙ্গে। পাশাপাশি, স্বতন্ত্র সেনানী এক্সপ্রেস ও ভুবনেশ্বর রাজধানী এক্সপ্রেসও দেরিতে চলছিল, ফলে ওই দুই ট্রেনের যাত্রীরাও ১২, ১৩ ও ১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষা করছিলেন।”
তাঁর মতে, প্রতি ঘণ্টায় কুম্ভগামী ট্রেনে ১৫০০-এর বেশি সাধারণ টিকিট বিক্রি হয়েছিল, ফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় এবং পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে।
ইতিমধ্যেই রেল কর্তৃপক্ষ উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনা না ঘটে, তার জন্য কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহলে।