কিয়েভ (ইউক্রেন): ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কিকে ভারত সফরে আমন্ত্রণ জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রত্যুত্তরে জেলেনস্কি বলেছেন, ভারতের মতো ‘মহান’ দেশে সফর করলে তিনি খুব খুশি হবেন।
তিন দশক আগে ইউক্রেন স্বাধীন হওয়ার পর এই প্রথম ভারতের কোনো প্রধানমন্ত্রী সে দেশ সফরে গেলেন। সে দেশের রাজধানী কিয়েভে প্রায় ন’ ঘণ্টা ছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সেই সময়ে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন তিনি। আলোচনাচলাকালীন জেলেনস্কিকে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানান।
দুই দেশের শীর্ষ নেতার বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে মিলিত হন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। মোদী যে জেলেনস্কিকে ভারত সফরে আসতে বলেছেন, সাংবাদিকদের কাছে সেই খবরের সত্যতা স্বীকার করেন জয়শঙ্কর।
তিনি বলেন, “১৯৯২-এর পর আমাদের প্রধানমন্ত্রী এই প্রথম ইউক্রেন সফরে এলেন। ব্যাপারটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা খুবই স্বাভাবিক যে, এই সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী মিত্র দেশের প্রধানকে আমন্ত্রণ জানান। এ ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী তা-ই করেছেন।”
জয়শঙ্কর আরও বলেন, “তাই আমরা আশা করি তাঁর সুবিধামতো কোনো এক সময়ে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ভারত সফরে যাবেন।”
দুই দেশের নেতার বৈঠকের পরে যে যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে, তাতেও বলা হয়েছে পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে ভারতে আসার জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদী জেলেনস্কিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় মোদীর আমন্ত্রণ প্রসঙ্গে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, ভারতে সফরে গেলে তিনি খুশি হবেন।
তিনি বলেন, “হ্যাঁ। কারণ আপনি যখন একটা কৌশলগত অংশীদারিত্ব শুরু করেন এবং কিছু কথাবার্তা শুরু করেন, আমার মনে হয় তখন আপনার আর সময় নষ্ট করার দরকার নেই, থেমে থাকার দরকার নেই এবং তাই আমি মনে করি দু’জনে আবার মিলিত হতে পারলে ভালো হবে।”
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পরিষ্কার বলেন, তিনি চান ভারত তাঁর দেশের পক্ষে থাকুক।
তিনি বলেন, “আপনাদের বৃহৎ, মহান দেশ সম্পর্কে আমি প্রচুর পড়েছি। খুব ইন্টারেস্টিং। আমাদের পাশে আপনাদের দেশের থাকা খুব দরকার। আপনাদের সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য প্রস্তুত হলেই আমি যত শীঘ্র সম্ভব ভারতে যেতে পারলে খুশি হব।” তবে তিনি এ কথা জানিয়ে দেন যে তাঁর সফর অবশ্য ইউক্রেনের পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে।
আরও পড়ুন
‘আপনার বড় প্রভাব রয়েছে, পুতিনকে থামান’, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে মোদীকে জেলেনস্কি