মঙ্গলবার বিহার বিধানসভায় উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে জড়িয়ে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ও আরজেডি (RJD) নেতা তেজস্বী যাদব। নীতীশ কুমার দাবি করেন, তেজস্বীর বাবা লালুপ্রসাদ যাদবকে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করতে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।
বিহার বিধানসভায় আলোচনার সময়, নীতীশ কুমার তেজস্বী যাদবকে কটাক্ষ করে বলেন, “বিহারে আগে কী ছিল? তোমার বাবাকে আমিই তৈরি করেছি। তোমার জাতির লোকেরাও আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিল কেন আমি এটা করছি, তবুও আমি তাঁকে সমর্থন করেছিলাম।”
বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদব নীতীশ কুমারের বক্তব্যের পাল্টা জবাব দেন। তিনি অভিযোগ করেন, নীতীশ কুমার বারবার রাজনৈতিক মিত্র বদল করেন এবং বিহারের ইতিহাস নিয়ে বিভ্রান্তিকর দাবি তুলে ধরেন।
তেজস্বী বলেন, “২০০৫ সালের আগে কি বিহার ছিল না? রাজ্যপাল যা পড়েন, তা সরকারই লিখে দেয়। নতুন রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান হয়তো বিহারের ইতিহাস সম্পর্কে জানেন না। আগের রাজ্যপালের ভাষণও একই ছিল। নিয়োগ সংক্রান্ত প্রতিশ্রুতিগুলোও বারবার পুনরাবৃত্তি করা হচ্ছে।”
তেজস্বী আরও বলেন, “২০০৫ সালের আগে নীতীশ কুমারের বয়স ৫৫ বছর ছিল। তিনি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি সম্পন্ন করেছিলেন এবং কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রীও ছিলেন। যেখানে আমরা এখন আলোচনা করছি, সেই বিধানসভা ভবনও ২০০৫ সালের আগে থেকেই ছিল। অনেকেরই লালুজির প্রতি বিদ্বেষ আছে। যারা লালুজিকে কাঁটা মনে করে, তাদের চোখ যেন নিরাপদ থাকে। এই সরকার যদি ৪০ বছরও টিকে থাকে, তবুও তারা ২০০৫ সালের আগের বিহারকে দোষারোপ করতে থাকবে।”
বিহার বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আরজেডি (RJD) ও জেডিইউ (JDU)-র মধ্যে সংঘাত তীব্র হয়ে উঠেছে। ২০২৪ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত আরজেডি ও কংগ্রেসের সঙ্গে মিত্র ছিলেন নীতীশ কুমার। মহাগঠবন্ধন ছেড়ে বিজেপি-নেতৃত্বাধীন এনডিএ (NDA)-তে যোগ দিয়েছেন তিনি।
অন্য দিকে, জানুয়ারি মাসে লালুপ্রসাদ যাদব বলেন, “আমাদের দরজা নীতীশ কুমারের জন্য সবসময় খোলা। তারও উচিত নিজের দরজা খুলে রাখা, যাতে দুই পক্ষের লোক সহজেই যাতায়াত করতে পারে।”