ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন (ইউপিএসসি) বুধবার ঘোষণা করেছে যে আইএএস পূজা খেড়করের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে এবং তাঁকে আজীবনের জন্য ইউপিএসসি পরিচালিত পরীক্ষায় বসার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ইউপিএসসি জানিয়েছে, ২০২২-এর আইএএস নিয়োগ প্রক্রিয়ায় পূজা খেড়কর জাল শংসাপত্র ব্যবহার করে সংরক্ষণের সুবিধা নেন এবং একাধিক বার পরীক্ষায় বসেন। প্রাথমিকভাবে, তাঁকে ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য বলা হয়েছিল। পূজা ৪ অগস্ট পর্যন্ত সময় চেয়েছিলেন, তবে ইউপিএসসি তা নাকচ করে ৩০ জুলাই পর্যন্ত সময় দেয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তিনি কারণ দর্শাতে ব্যর্থ হওয়ায় তাঁর নিয়োগ বাতিল করা হয়।
এছাড়াও, ইউপিএসসি ২০০৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে নিযুক্ত ১৫,০০০-এরও বেশি আমলার নথি পুনরায় খতিয়ে দেখেছে, তবে পূজা ছাড়া অন্য কোনও আমলার বিরুদ্ধে জালিয়াতির প্রমাণ মেলেনি।
দিল্লি পুলিশের কাছে পূজার বিরুদ্ধে ভুল তথ্য এবং ভুয়ো পরিচয়পত্রের সাহায্যে সংরক্ষণের সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সেই অভিযোগের তদন্ত করছে অপরাধদমন শাখা। পূজা আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন, যা নিয়ে দিল্লি হাই কোর্টের রায় বৃহস্পতিবার ঘোষণা করা হতে পারে।
সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের পুণের সহকারী জেলাশাসক হিসাবে নিযুক্ত পূজার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ ওঠে। তাঁর বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ ছিল যে, তিনি নিজের ব্যক্তিগত ব্যবহারের গাড়িতে মহারাষ্ট্র সরকারের স্টিকার এবং লালবাতি ব্যবহার করতেন, যা বেআইনি।
পূজা খেড়করের আরও একটি বড় অভিযোগ ছিল যে, তিনি এমবিবিএস পড়ার সময় ভুয়ো শংসাপত্র দাখিল করে নিজেকে ‘অনগ্রসর’ শ্রেণিভুক্ত বলে দেখিয়েছিলেন। এছাড়াও, তিনি ভুয়ো প্রতিবন্ধী শংসাপত্র দাখিল করেন এবং ইউপিএসসি পরীক্ষায় দুটি ভুয়ো মেডিক্যাল সার্টিফিকেট জমা দেন। এত কিছুর পরেও তিনি কীভাবে চাকরি পেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।