কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে তরুণী চিকিৎসকের নৃশংস ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সরব হয়েছে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (IMA)। শনিবার একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আইএমএ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে উদ্দেশ্য করে একাধিক দাবি তুলে ধরে, যার মধ্যে রয়েছে কেন্দ্রীয় আইন প্রণয়ন, নিরাপত্তা বৃদ্ধির ব্যবস্থা, কর্মপরিবেশের উন্নয়ন, দ্রুত তদন্ত এবং নিহতের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণের দাবি।
প্রসঙ্গত, ৯ অগাস্টের রাতে চিকিৎসকে হত্যা করা হয়, যখন তিনি কর্মরত ছিলেন। এর পর হাসাপাতালে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু হয়। ১৪ অগাস্ট, একদল দুষ্কৃতী হাসপাতালে ভাঙচুর চালায়। এই ঘটনার পর আইএমএ চিকিৎসকদের নিরাপত্তা এবং হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নতির জন্য পাঁচটি মূল দাবি তুলে ধরেছে।
প্রথমত, আইএমএ কেন্দ্রীয় স্তরে একটি আইনের প্রস্তাব দিয়েছে, যা ১৮৯৭ সালের এপিডেমিক ডিজিজেস অ্যাক্টে ২০২০ সালে সংযোজিত সংশোধনীগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করবে। এই আইনটি “হেলথকেয়ার সার্ভিসেস পার্সোনেল এবং ক্লিনিক্যাল এস্টাব্লিশমেন্টস (প্রোটেকশন অফ ভায়োলেন্স অ্যান্ড ড্যামেজ টু প্রপার্টি বিল ২০১৯)” এর খসড়াকে সংহত করবে বলে আইএমএ দাবি করেছে। এতে করে বর্তমানে বিদ্যমান ২৫টি রাজ্য আইন আরও শক্তিশালী হবে বলে আইএমএ মনে করে।
দ্বিতীয়ত, হাসপাতালগুলিকে সুরক্ষিত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করে বিমানবন্দরের মতো কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রণয়ন করার দাবি জানিয়েছে আইএমএ। এর মধ্যে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন, নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন, এবং সুরক্ষার মান নিশ্চিত করার জন্য নির্দিষ্ট প্রটোকল চালু করার দাবি করা হয়েছে।
প্রতিবাদের জের! ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৪২ চিকিৎসকের বদলি সিদ্ধান্ত স্থগিত
তৃতীয়ত, চিকিৎসকদের জন্য উন্নত কর্মপরিবেশের দাবিও জানিয়েছে আইএমএ। বিশেষ করে, নির্যাতিতা চিকিৎসক যে ৩৬ ঘণ্টার শিফটে কর্মরত ছিলেন এবং নিরাপদ বিশ্রামস্থল ও পর্যাপ্ত বিশ্রাম কক্ষের অভাবের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে সংস্থাটি।
চতুর্থত, আইএমএ অত্যন্ত পেশাদার এবং নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে অপরাধের তদন্ত সম্পন্ন করার দাবি করেছে, যাতে দ্রুত এবং কার্যকরভাবে বিচার পাওয়া যায়।
পঞ্চমত, নিহত চিকিৎসকের পরিবারের জন্য যথাযথ এবং মর্যাদাপূর্ণ ক্ষতিপূরণের দাবিও জানিয়েছে আইএমএ। আইএমএ বলেছে, ‘‘নিহতের পরিবারকে মর্যাদাপূর্ণ ক্ষতিপূরণ প্রদান করা উচিত।’’