ভারত ও চিনের মধ্যে সীমান্ত সংঘর্ষ প্রশমনে বড় পদক্ষেপ। সোমবার বিদেশসচিব বিক্রম মিশ্রি জানান, দুই দেশ সীমান্ত থেকে সেনা অপসারণ ও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) বরাবর টহল পুনরায় শুরু করার বিষয়ে সম্মতি দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাশিয়া সফর ও ব্রিকস সম্মেলনের ঠিক আগে এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তটি প্রকাশ্যে এসেছে।
আগামী ২২-২৩ অক্টোবর ১৬তম ব্রিকস সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এই সিদ্ধান্তের ফলে সীমান্তে দীর্ঘদিনের উত্তেজনার অবসান হতে পারে এবং দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের পথ সুগম হবে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ব্রিকস সম্মেলনের প্রাক্কালে এই পদক্ষেপ ভারতের কূটনৈতিক সাফল্যের প্রতিফলন।
সম্প্রতি ভারত ও চিনের মধ্যে হওয়া আলোচনার ফলে সীমান্তের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) বরাবর টহল চালানোর বিষয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিদেশসচিব বলেন, এই চুক্তি সেনা অপসারণের পাশাপাশি ২০২০ সালে সীমান্তে যে সমস্যা দেখা দিয়েছিল, তার সমাধানের পথে নিয়ে যাবে।
ব্রিকস সম্মেলনের পার্শ্বচর্চায় চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর সঙ্গে কোনও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মিশ্রি বলেন, “বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরেই ভারত ও চিনের মধ্যে কূটনৈতিক ও সামরিক আলোচনা চলছিল। আমরা এখনও দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সময় এবং বিশদ সমন্বয়ের কাজ করছি।”
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে ভারত-চিন সীমান্তে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি)-তে ভারত ও চীনের সেনাদের মধ্যে সংঘাত ঘটে। এই সংঘাতে ২০ জন ভারতীয় সেনা নিহত হয় এবং চিনের পক্ষেও হতাহতের ঘটনা ঘটে, যদিও তারা সঠিক সংখ্যা প্রকাশ করেনি। এই সংঘাতের মূল কারণ ছিল সীমান্তে চিনের অনুপ্রবেশ এবং এলএসি বরাবর টহল সংক্রান্ত মতবিরোধ। পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ হওয়ায় উভয় দেশের মধ্যে একাধিক কূটনৈতিক ও সামরিক স্তরে আলোচনা শুরু হয়, যা এখনও চলছে।
আরও পড়ুন: জঙ্গি হামলায় কাশ্মীরে ৭ জনের মৃত্যু, হামলার দায় স্বীকার করল পাকিস্তানের লস্কর-ই-তৈবার সহযোগী সংগঠন