মুম্বই-অমদাবাদ হাই-স্পিড রেল (MAHSR) করিডোরে বুলেট ট্রেনের নকশা চূড়ান্ত করার পথে এগোচ্ছে ভারত ও জাপান। এই প্রকল্পের জন্য দরপত্র আহ্বানের আগে নকশা চূড়ান্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন এক শীর্ষ সরকারি আধিকারিক।
জানা গিয়েছে, জাপানের শিনকানসেন ট্রেনগুলিকে ভারতীয় পরিবেশের উপযোগী করতে বিশেষ পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এগুলিকে ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রায় চলাচলের উপযোগী করে তোলা হবে। তাপ ও ধুলোর সমস্যা মোকাবিলায় বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়াও, লাগেজ রাখার জায়গা বৃদ্ধি এবং আসনের সংখ্যা কিছুটা কমানো হতে পারে।
মুম্বই-অমদাবাদ হাই-স্পিড রেল করিডোরের ৫০ শতাংশের বেশি নির্মাণকাজ ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। গুজরাতে ভায়াডাক্টের উপর রেল লাইনের ওয়েল্ডিং শুরু হয়েছে। এই প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় রেল লাইন জাপান থেকে আমদানি করা হচ্ছে এবং ইতিমধ্যে ৬০ কিলোমিটারেরও বেশি রেললাইন বসানো হয়েছে।
ভারতে ভবিষ্যতে বুলেট ট্রেন ও সিগন্যালিং সিস্টেম তৈরির জন্য স্থানীয় উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। রেলওয়ে বোর্ড ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি (ICF)-কে ২৮০ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিসম্পন্ন বুলেট ট্রেন নির্মাণের দায়িত্ব দিয়েছে। বিইএমএল-এর সঙ্গে যৌথ ভাবে এই ট্রেনগুলি তৈরি করা হবে, যার মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৬৬.৮৭ কোটি টাকা।
বেঙ্গালুরুতে বিইএমএল-এর কারখানায় ২০২৬ সালের শেষ নাগাদ ট্রেনগুলি তৈরি হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই ট্রেনগুলিতে সম্পূর্ণ শীতাতপনিয়ন্ত্রিত চেয়ার কার থাকবে। যাত্রীদের জন্য রিক্লাইনেবল ও ঘোরানো যায় এমন আসন, প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা এবং ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেমের মতো আধুনিক সুবিধা দেওয়া হবে।
ভারতের এই বুলেট ট্রেন প্রকল্প পরিবহণ খাতে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। ফরাসি টিজিভি এবং জাপানি শিনকানসেনের মতো উচ্চ গতিসম্পন্ন পরিবহন ব্যবস্থা এ দেশে এসে গেলে পরিবহণের ভোল আমূল বদলে যাবে।