নয়াদিল্লি: বুধবার সফলভাবে ৩,৫০০ কিমি দূরে আঘাত হানতে সক্ষম ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কে-৪-এর পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ সম্পন্ন করল ভারতীয় নৌবাহিনী। এটি নতুন পরমাণু সাবমেরিন আইএনএস অরিঘাট থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়। এই সফল পরীক্ষা ভারতের দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রতিরোধ ক্ষমতা (Second-Strike Capability) নিশ্চিত করল।
নিউক্লিয়ার সাবমেরিন আইএনএস অরিঘাটের সাফল্য
আইএনএস অরিঘাট চলতি বছরের আগস্টে বিশাখাপত্তনমের শিপ বিল্ডিং সেন্টারে নৌবাহিনীতে যুক্ত হয়েছে। এই প্রথম কৌশলগত পরীক্ষার অংশ হিসেবে কে-৪ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করল। এই পরীক্ষার মাধ্যমে সাবমেরিনটির যুদ্ধ প্রস্তুতির মান যাচাই করা হল। আইএনএস অরিঘাটের পাশাপাশি আইএনএস অরিহন্তও ভারতের প্রথম পরমাণু শক্তিচালিত সাবমেরিন, যা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম।
কে-৪ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের বৈশিষ্ট্য
কে-৪ ক্ষেপণাস্ত্র জলের নীচ থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য। এটি ভারতের প্রতিরক্ষা কৌশলে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। এই ক্ষেপণাস্ত্র ৩,৫০০ কিমি দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম, যা এর পূর্বসূরি কে-১৫ ক্ষেপণাস্ত্রের (৭৫০ কিমি পাল্লা) তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী। ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও) আগেই কে-৪ ক্ষেপণাস্ত্রের বিভিন্ন পরীক্ষা সম্পন্ন করেছিল, যার মধ্যে পূর্ণাঙ্গ পাল্লার পরীক্ষাও ছিল।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
এই সফল উৎক্ষেপণের পর নৌবাহিনী আরও কিছু পরীক্ষা চালাবে। এছাড়া, তৃতীয় পরমাণু সাবমেরিন ইতিমধ্যেই হস্তান্তর করে দেওয়া হয়েছে এবং তা আগামী বছর নৌবাহিনীতে যুক্ত হওয়ার কথা।
এই সাফল্য ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে এবং দেশের কৌশলগত অবস্থানকে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে মজবুত করবে বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।