Home খবর দেশ ঝাড়খণ্ডে লিভ-ইন পার্টনারকে নৃশংস হত্যা, দেহ ৫০ টুকরো করে জঙ্গলে ফেলে দিল...

ঝাড়খণ্ডে লিভ-ইন পার্টনারকে নৃশংস হত্যা, দেহ ৫০ টুকরো করে জঙ্গলে ফেলে দিল সঙ্গী, গ্রেফতার অভিযুক্ত 

ঝাড়খণ্ডে লিভ-ইন পার্টনারকে নৃশংস হত্যা, দেহ ৫০ টুকরো করে জঙ্গলে ফেলে দিল সঙ্গী,
ঝাড়খণ্ডে লিভ-ইন পার্টনারকে নৃশংস হত্যা, দেহ ৫০ টুকরো করে জঙ্গলে ফেলে দিল সঙ্গী,

ঝাড়খণ্ড: ঝাড়খণ্ডের খুঁটি জেলায় এক নৃশংস ঘটনা সামনে এসেছে। এক ব্যক্তি তার লিভ-ইন পার্টনারকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং দেহ ৪০ থেকে ৫০ টুকরো করে জঙ্গলে ফেলে দেয়। অভিযুক্ত নরেশ  নরেশ বেঙরা (২৫) নামে এক কসাইকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

গত ২৪ নভেম্বর জাড়িয়াগড় থানার জোর্ডাগ গ্রামে একটি কুকুরের মুখে মানব অঙ্গ দেখতে পাওয়া যায়। এরপরই পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং নৃশংস হত্যার বিষয়টি সামনে আসেন।

পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং নিহত ২৪ বছর বয়সী তরুণী খুঁটি জেলার বাসিন্দা ছিলেন এবং তাঁরা তামিলনাড়ুতে একসঙ্গে থাকতেন। তবে সম্প্রতি নরেশ খুঁটিতে ফিরে এসে পরিবারের পছন্দ মতো এক মহিলাকে বিয়ে করেন। পরে আবার তামিলনাড়ু ফিরে গিয়ে লিভ-ইন পার্টনারের সঙ্গে সম্পর্ক চালিয়ে যায়। তাঁকে এই বিয়ের বিষয়ে কিছুই জানাননি।

৮ নভেম্বর, নরেশ ওই তরুণীকে খুঁটিতে নিয়ে আসেন। বাড়িতে নিয়ে না গিয়ে, সে তাঁকে জঙ্গলে নিয়ে যান এবং সেখানে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। এরপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে দেহটি প্রায় ৪০ থেকে ৫০ টুকরো করে এবং সেগুলো জঙ্গলে ফেলে রাখেন। পুলিশ জানিয়েছে, নরেশ একজন কসাই হিসেবে কাজ করত এবং দেহ কাটার ক্ষেত্রে সে দক্ষ ছিল।

খুঁটি জেলার পুলিশ সুপার অমন কুমার জানান, “অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং সে অপরাধ স্বীকার করেছে। ঘটনাস্থল থেকে বেশ কয়েকটি দেহের অংশ উদ্ধার করা হয়েছে।”

পুলিশ জানিয়েছে, হত্যার পর ওই ব্যক্তির বাড়ির কাছে জঙ্গলে একটি ব্যাগ পাওয়া যায়, যেখানে তরুণীর আধার কার্ড এবং অন্যান্য জিনিসপত্র ছিল। নিহতের মা ওই ব্যাগ দেখে তাঁর মেয়ের জিনিসপত্র শনাক্ত করেন।

এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। দিল্লির মেহরৌলির শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যাকাণ্ডের স্মৃতি এখনো মানুষের মনে তাজা। শ্রদ্ধাকে তাঁর লিভ-ইন পার্টনার নৃশংসভাবে হত্যা করে দেহ টুকরো টুকরো করে জঙ্গলে ফেলে দেয়।

আরও খবরের জন্য পড়ুন

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version