বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন ভারতের গ্র্যান্ড মুফতি এবং ইসলামিক কমিউনিটি অফ ইন্ডিয়ার সভাপতি কান্তাপুরম এপি আবুবকর মুসলিয়ার। তিনি বলেন, “পড়শি দেশ বাংলাদেশের সংঘাতময় পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। ওই দেশে সংখ্যালঘুদের সব দিক থেকে নিরাপদ রাখা অত্যন্ত জরুরি।”
তিনি উল্লেখ করেন, “গত মাসের ২৫ তারিখে বৈষ্ণব সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারের ঘটনা বাংলাদেশে উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে। এর পরবর্তী বিক্ষোভ বিভিন্ন স্থানে তীব্র উত্তেজনা তৈরি করেছে। বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তাহীনতা পুরো অঞ্চল, বিশেষ করে ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং নেপালের জন্য একটি গুরুতর সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
কান্তাপুরম আরও বলেন, “বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারকে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে এবং সাম্প্রদায়িকতার বিস্তার রোধে উদ্যোগী হতে হবে”। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি করে এমন কার্যকলাপ থেকে সবাইকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তিনি।
কেন্দ্রের প্রতি আহ্বান জানিয়ে কান্তাপুরম বলেন, “একজন প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতকেও এ বিষয়ে গঠনমূলক সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।”
প্রসঙ্গত, কয়েক দিন ধরেই বাংলাদেশে হিন্দুদের উপরে লাগাতার হামলা, অত্যাচারের খবর মিলছে বিভিন্ন মিডিয়া রিপোর্টে। যার জেরে চাপানউতোর দেখা দিয়েছে দুই দেশের সম্পর্কে। দুই দেশের কূটনৈতিক স্তরের সম্পর্কেও দূরত্ব বাড়তে দেখা গিয়েছে।
এর মাঝেই হিন্দু নির্যাতনের প্রতিবাদে গিয়ে হামলার অভিযোগ ওঠে ত্রিপুরার আগরতলার বাংলাদেশি ডেপুটি হাই কমিশনে। ভারতের উপর চাপ বাড়াতে গতকাল মঙ্গলবার বিদেশমন্ত্রকে ডাক পড়ে প্রণয় বর্মার। এই আবহে আজ জানা গেল আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় যেতে পারেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি।