কলকাতা: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু কি যুদ্ধাপরাধী ছিলেন? এক অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের চাঞ্চল্যকর দাবি ঘিরে এমন প্রশ্নেই উত্তাল হয়েছিল বিশ্ব। তবে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সেন্ট্রাল রেজিস্ট্রি অব ওয়ার ক্রিমিনাল অ্যান্ড সিকিউরিটি সাসপেক্ট-এর কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি সুভাষচন্দ্রের নাম। তবুও মাঝেমধ্যেই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে আসে বিষয়টি।
কয়েক বছর আগে নেতাজি সম্পর্কিত বেশ কিছু নথি সামনে আসতেই শুরু হয় নতুন বিতর্ক। জানা যায়, ১৯৪৫ সালের ডিসেম্বরে তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ক্লেমেন্স এটলিকে কংগ্রেস নেতা জওহরলাল নেহরু লেখেন, বিশ্বস্ত সূত্রে তিনি জানতে পেরেছেন, ‘এটলির চোখে যুদ্ধাপরাধী সুভাষচন্দ্র বসুকে রাশিয়ায় ঢোকার অনুমতি দিয়েছেন স্ট্যালিন। এটা রাশিয়ানদের পক্ষে পরিষ্কার বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে…’। তবে সুভাষচন্দ্রকে যুদ্ধাপরাধী বলা যায় কি না, তা জানতে চেয়েছিলেন নেতাজির সেজদাদা সুরেশচন্দ্র বসু। নেহরুর কাছ থেকে তিনিও কোনো সদুত্তর পাননি।
উল্লেখ্য, নেতাজির নাম যে কোনো দিনই কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থা, সংগঠন বা ট্রাইবুনালের ‘যুদ্ধাপরাধী’ তালিকায় ছিল না, সে বিষয়ে তারা ভারতীয় দূতাবাস বা ভারতীয় হাই কমিশনের মাধ্যমে ভারত সরকারকে অনেক আগেই জানিয়েছে তারা। যার মধ্যে অন্যতম টোকিয়ো ওয়ার ক্রাইমস ট্রাইবুনাল’, ‘ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস’ (হেগ), ‘ইম্পিরিয়াল ওয়ার মিউজ়িয়াম’ (লন্ডন), ‘ইন্টারন্যাশনাল মিলিটারি ট্রাইবুনাল’ (নুরেমবার্গ), ‘ইউএন ওয়ার ক্রাইম কমিশন’ ইত্যাদি।
এমনকী রুশ মহাফেজখানার তথ্যকে হাতিয়ার করে একাংশ এ ধরনের দাবি করলেও, তা আদতে বানানো গল্প ছাড়া আর কিছুই নয়। দাবি প্রবীণ নেতাজি গবেষক গিরীশ মাইতির। দেখুন এই লিঙ্কে ক্লিক করে: নেতাজিকে নিয়ে রুশ মহাফেজখানার তথ্যের পুরোটাই গুজব, দাবি গবেষকের