নয়াদিল্লি: কামদুনিকাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট। তবে মুক্তিপ্রাপ্তদের জন্য একাধিক শর্ত আরোপ করল সর্বোচ্চ আদালত।
কলকাতা হাইকোর্ট অভিযুক্তদের মুক্তি দিয়েছিল ফাঁসি এবং যাবজ্জীবনের শাস্তি থেকে। এর প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কামদুনির প্রতিবাদী ও নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট সেই ‘মুক্তি’র নির্দেশে আরোপ করল শর্ত। এ দিন দেশের শীর্ষ আদালত জানাল, কামদুনি ধর্ষণ মামলা থেকে মুক্তি পাওয়া চার জনকে কিছু বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে।
হাইকোর্টের নির্দেশের পর থেকেই কামদুনির প্রতিবাদী ও নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করছেন, তাঁরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। প্রতিবাদে কলকাতাতেও একাধিক কর্মসূচি নিয়েছেন তাঁরা। সুপ্রিম কোর্টে মামলাকারীদের বক্তব্য, অভিযুক্তরা ছাড়া পাওয়ার পর এই মামলার অন্যান্য তথ্য প্রমাণ লোপাট হতে পারে। কারণ এই মামলার পুনর্তদন্তের দাবি তুলেছে নির্যাতিতার পরিবার।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, ছাড়া পাওয়া অভিযুক্তরা রাজারহাট থানার ওসির অনুমতি ছাড়া থানার বাইরে কোথাও যাতায়াত করতে পারবেন না। থানার বাইরে কোথাও যেতে হলে ওসির আগাম অনুমতি নিতে হবে। প্রত্যেক মাসের প্রথম ও তৃতীয় মঙ্গলবার রাজারহাট থানায় গিয়ে হাজিরা দিতে হবে। প্রতি সপ্তাহের সোম এবং শুক্রবারে বারাসত থানাতেও হাজিরা।
এ ছা্ড়াও মুক্তিপ্রাপ্তদের পাসপোর্ট থানায় জমা রাখতে হবে। ঠিকানা বদল করলে আগাম জানাতে হবে।তারা যে মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন, সেই নম্বর ওসিকে জানাতে হবে। কোনো ভাবেই নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন না অভিযুক্তরা।
প্রসঙ্গত, কামদুনির ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় গত ৬ অক্টোবর রায় ঘোষণা করে কলকাতা হাইকোর্ট। এই মামলায় যে তিন জনের ফাঁসির নির্দেশ দিয়েছিল নিম্ন আদালত, তাদের মধ্যে এক জনকে বেকসুর খালাস করে হাইকোর্ট। বাকি দু’জনের সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি আরও তিন দোষী সাব্যস্তের সাজা মকুব করে হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ।
আরও পড়ুন: হাইকোর্টের নির্দেশের পরই প্রস্তুতি, উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি