কেদারনাথ মন্দিরে আসা ভক্তরা এখন পেটিএম কিউআর কোড (Paytm QR code) স্ক্যান করে পেটিএম ইউপিআই বা ওয়ালেট ব্যবহার করে আর্থিক দান করতে পারবেন। ওয়ান৯৭ কমিউনিকেশনের মালিকাধীন জনপ্রিয় ডিজিটাল পেমেন্ট ব্র্যান্ড পিটিএম-এর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন অনেকেই।
সংবাদ সংস্থা আইএএনএস-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে, পেটিএম সুপার অ্যাপের মাধ্যমে, সারা ভারত থেকে ভক্তরাও এখন নিজেদের বাড়িতে বসেও রুদ্রপ্রয়াগের উত্তরাখণ্ড জেলার এই পবিত্র মন্দিরে দান করতে পারবেন।
এ ব্যাপারে পেটিএম-এর একজন মুখপাত্রের মন্তব্য উদ্ধৃত করে আইএএনএস রিপোর্টে বলেছে, “ভারতে কিউআর এবং মোবাইল পেমেন্টের পথপ্রদর্শক হিসাবে, আমরা কেদারনাথ মন্দিরের দরজায় ‘ডিজিটাল দান’ চালু করেছি, যেখানে ভক্তরা মন্দিরে পেটিএম কিউআর কোড স্ক্যান করতে পারবেন এবং পেটিএম ইউপিআই অথবা ওয়ালেটের মাধ্যমে সহজেই অনুদান ট্রান্সফার করতে পারবেন”।
তিনি আরও বলেন, “আমরা নিজেদের উদ্ভাবনী মোবাইল পেমেন্ট সলিউশনকে দেশের প্রতিটি প্রান্তে নিয়ে যেতে চাইছি। এর মাধ্যমে আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির জন্য আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ”।
চারধাম যাত্রার অন্যতম পবিত্র মন্দির, কেদারনাথ মন্দির যাত্রা শুরু হয়েছিল ২৫ এপ্রিল (মঙ্গলবার)। এখন মন্দিরে আসা ভক্তরা সহজেই পেটিএম ইউপিআই এবং ওয়ালেট ছাড়াও পেটিএম ইউপিআই লাইট, পেটিএম পোস্টপেড এবং অন্যান্য মাধ্যমে অনুদান দিতে পারছেন।
প্রসঙ্গত, হিন্দু ধর্মের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ তীর্থস্থান হিসাবে বিবেচিত চারধাম। হিন্দু তীর্থযাত্রীদের হৃদয়ে সম্পূর্ণ আলাদা ধর্মীয় তাৎপর্য রয়েছে এই চারধাম যাত্রার। এই যাত্রাপথে রয়েছে যমুনোত্রী, গঙ্গোত্রী, বদ্রীনাথ এবং কেদারনাথ। প্রতি বছর এপ্রিল-মে মাসে শুরু হয় এবং মাত্র অর্ধ বছর স্থায়ী হয় এই যাত্রা। অক্ষয় তৃতীয়ার আগে সঠিক তারিখগুলি জানায় কেদার-বদ্রী মন্দির সমিতি।
অন্যান্য বছরের মতোই এ বছর, যমুনোত্রী এবং গঙ্গোত্রীর দ্বার খুলেছে অক্ষয় তৃতীয়ায় (২২ এপ্রিল)। মে মাসের তৃতীয় বা চতুর্থ সপ্তাহ থেকে শুরু করে অন্য দুটি মন্দির, কেদারনাথ এবং বদ্রীনাথে ভিড় করতে পারেন পুণ্যার্থীরা। চারধামের পবিত্র যাত্রা যথাক্রমে গঙ্গোত্রী এবং কেদারনাথের মধ্য দিয়ে যাওয়ার পরে বদ্রীনাথে শেষ হয়।
আরও পড়ুন: বাস্কিন রবিন্স কলকাতায় নিয়ে এল ১৭টি নতুন পণ্য